ভারতের জয় এশিয়া কাপ থেকে বিদায় নিশ্চিত করেছিল বাংলাদেশের। সেই দলটির বিপক্ষে এবার টাইগাররা নিয়মরক্ষার ম্যাচ খেলতে নামছে। তবে সান্ত্বনার জয় পেতে এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে চাইবেন সাকিব আল হাসানরা। এশিয়া কাপের দশম আসরে যাত্রাটা শুভ হয়নি বাংলাদেশের। গ্রুপপর্বে আফগানিস্তানকে হারানোর ম্যাচ বাদে টাইগাররা আর জয়ের দেখা পায়নি।
সুপার ফোরের শেষ ম্যাচে আগামীকাল (শুক্রবার) বিকেল সাড়ে ৩টায় ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামছে সাকিব আল হাসানের দল। বাংলাদেশের জন্য অবশ্য নতুন করে এই ম্যাচে হারানোর কিছু নেই, তবে রয়েছে প্রাপ্তির সুযোগ। অধিনায়ক সাকিবও চান ভারতকে হারিয়ে এশিয়া কাপের শেষটা রাঙিয়ে রাখতে।
ম্যাচের আগের দিন আজ সংবাদ সম্মেলনে ভারতকে হারানোর লক্ষ্য জানিয়েছেন সাকিব, ‘অবশ্যই চাওয়া-পাওয়ার আছে। যদি আমরা শেষ ম্যাচ জিতে দেশে যেতে পারি সেটা আমাদের জন্য ভালো হবে। এই ম্যাচ থেকে অন্য কিছু চাই না, এই ম্যাচ থেকে শুধু জয় চাই।’
এশিয়া কাপে বাংলাদেশের যারা ভালো করতে পারেনি তাদেরও সুযোগ দেখছেন সাকিব, ‘যারা জাতীয় দলে খেলে, ক্যাপাবল বলেই খেলে। এখানে অভিজ্ঞতার বিষয় নেই, নতুন-পুরাতন এগুলো নিয়ে আসলে চিন্তা করি না। দল হিসেবে খেলতে পারলে আমাদের জন্যই ভালো। সব সময় ভালো করবে এটাও না, খারাপ করবে সেটাও না। যারা ভালো করেছে অবশ্য তাদের জন্য ভালো। যারা ভালো করতে পারেনি তাদের জন্য পরবর্তীতে আবার সুযোগ আসবে। তখন তারা যেন সেটা কাজে লাগাতে পারে।’
দলের একাদশ কেমন হবে এমন প্রশ্নে সাকিব বলেন, ‘আসলে পিচের ওপর সবকিছু নির্ভর করছে। যদি ভালো উইকেট হয় তাহলে তেমন কিছু নাও (পরিবর্তন) হতে পারে। আবার স্পিনিং উইকেট হলে হতেও পারে। আমাদের মুক্ত চিন্তা নিয়ে যেতে হবে। আসলে ভালোভাবে বোঝা যাবে খেলা শুরুর পরে। এর আগে শুধু ধারণাই করা যাবে। আসলে কম্বিনেশনে স্পিন থাকবে। শেষ ৩-৪ ম্যাচে স্পিনাররা সুযোগ পাচ্ছে।’
অন্যদিকে বাংলাদেশকে ছোট করে দেখছেন না ভারতের বোলিং কোচ পরশ মাম্বরে, ‘আমাদের দৃষ্টিকোণ থেকে বলব, আমরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছি। প্রত্যেক দলই চ্যালেঞ্জিং। এই গেমও ভিন্ন কিছু নয়। বাংলাদেশ ভালো একটি দল। আমাদের সেরা ক্রিকেট খেলতে হবে যেকোনো দলের বিপক্ষেই, যথারীতি বাংলাদেশের বিপক্ষেও।’
কয়েকদিন ধরেই ভারতীয় ক্রিকেটারদের বিশ্রামে রাখার বিষয়টি আলোচনায় রয়েছে। সে বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এখনও কাউকে বিশ্রাম দেওয়ার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে হ্যাঁ, এই ম্যাচ অন্যদের পরখ করে নেওয়ার একটা সুযোগ। যেহেতু আমরা ফাইনালে কোয়ালিফাই করে ফেলেছি। বাকি খেলোয়াড়দের একটা ম্যাচ খেলার সুযোগ দেওয়ার সময় এসেছে। তাই অবশ্যই বিশ্রামের ব্যাপারটা খোলা আছে। আমরা তো ফাইনালে উঠেই গেছি। দেখা যাক কাল কি হয়। আমরা দলের প্রয়োজন অনুযায়ীই সব করব।’
গত ছয়দিনে কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে চারটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শেষ ম্যাচগুলোতে পিচ স্লো হওয়ায় বেশ টার্ন পেয়েছেন স্পিনাররা। সে কারণে কালকের সম্ভাব্য বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচেও পিচ স্লো থাকতে পারে। আগে থেকেই চোট জর্জরিত বাংলাদেশ দলের এই ম্যাচে থাকছেন মুশফিকুর রহিম। সে কারণে তার পরিবর্তে একাদশে দেখা যেতে পারে নতুন কাউকে।