সবারবেলায় সত্য বলি

ইপিজেড থানায় হামলার মামলায় আসামি ৩০ হাজার

নগরের ইপিজেড থানায় দেশিয় অস্ত্র, বোমা ককটেলসহ দাহ্য পদার্থ নিয়ে হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এতে অজ্ঞাতনামা ২৫ থেকে ৩০ হাজার ব্যক্তিকে আসামি করা হয়।

গত ২২ আগস্ট ওই থানার উপ-পরিদর্শক শাকিলুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করলেও বিষয়টি জানাজানি হয় সোমবার (২৬ আগস্ট)।

সোমবার মামলার বিষয়টি আজকের বেলাকে নিশ্চিত করেছেন নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (জনসংযোগ) কাজী মো. তারেক আজিজ।

তিনি বলেন, ‘গত ৫ আগস্ট ইপিজেড থানায় বোমা, ককটেল বিস্ফোরণ, অগ্নিসংযোগ এবং লুটপাটের ঘটনায় বিস্ফোরক আইনের ১৯০৮ ও ১৫(৩) / ২৫-ডি ধারা ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৯৫৪ ধারায় একটি মামলা হয়েছে। গত ২২ আগস্ট ইপিজেড থানার উপ-পরিদর্শক শাকিলুর রহমান বাদী হয়ে ২৫ থেকে ৩০ হাজার অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেছেন।’

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ৫ আগস্ট বিকেলে অজ্ঞাতনামা ২৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার জন দুষ্কৃতকারী পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে মারাত্মক অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি করে অবৈধভাবে থানায় অনধিকার প্রবেশ করে।

তারা বিস্ফোরকদ্রব্য পেট্রোল বোমা, ককটেল ও দাহ্য পদার্থ নিক্ষেপ করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে অগ্নিসংযোগ করে থানা ভবন, থানায় থাকা যানবাহনের কার্যক্ষমতা ব্যাহত করে সরকারি কর্মচারিকে আক্রমণ, কর্তব্য পালনে বাধা দান, করে বলপ্রয়োগের মাধ্যমে অস্ত্র-গুলি লুটপাট, সরকারি ও ব্যক্তিগত মালামাল ও যানবাহন চুরি করে। এ সময় থানায় দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তাদের ওপর হামলা চালিয়ে তাদের গুরুতর আহত করে আসামিরা।

এছাড়া আসামিরা থানার অফিসারদের কক্ষ, জুনিয়র সেরেস্তা, নারী শিশু ডেক্স, ডি-স্টোর, সি-স্টোর, কম্পিউটার কক্ষ ও সরঞ্জামাদি, সিসি টিভি, সার্ভিস ডেলিভারী কক্ষ, হাজতখানা, সকল অফিস কক্ষে থাকা বিভিন্ন ফাইল কেবিনেট, চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করে থানার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রেজিস্টার, পরিদর্শন বই, ভূমি ও ইমারত রেজিস্টার সংশ্লিষ্ট সকল দলিলাদি, ওসিসি ও তদন্ত ব্যয় বিল সংক্রান্ত সকল কাগজ পত্রাদি ও চেক বই, জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ গোপনীয় সরকারি সকল দলিলপত্র, সকল মূলতবী গ্রেপ্তারি পরোয়ানা, তদন্তাধীন মামলার মূল কেস ডকেট ও নথিপত্রে অগ্নিসংযোগ করে ভস্মীভূত করে।

এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, দুস্কৃতকারীরা থানা কম্পাউন্ড ও পার্কিং শেডে থাকা সরকারি, বেসরকারি এবং ব্যক্তিগত যানবাহন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে ভস্মীভূত করে লুটপাট করে। ইপিজেড থানায় আক্রমণের সময় আক্রমণকারীদের মধ্যে আনুমানিক দুই হাজার সদস্য একই সময় সিইপিজেড পুলিশ ফাঁড়ি এবং নিউমুরিং পুলিশ ফাঁড়িতে একইভাবে ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করে সরকারি এবং ব্যক্তিগত মালামাল নিয়ে যায়। এতে সর্বমোট ১ কোটি ৪৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন করা হয়।

এসআই/আজকের বেলা
আজকের বেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

Get real time updates directly on you device, subscribe now.