নগরের বিভিন্ন এলাকায় হঠাৎ করে গ্যাস সংকট দেখা দেওয়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। এ সংকট আরও একমাস থাকবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
রোববার (২২ অক্টোবর) নগরের চকবাজার, বহদ্দারহাট, নাসিরাবাদ, নিউমুরিং, দেওয়ানবাজার, জামালখান, বাকলিয়া ও ডিসি রোডসহ বিভিন্ন জায়গায় গ্যাসের এ সংকট দেখা যায়।
এছাড়াও চন্দনপুরা, আসকারদিঘীর পাড়, হালিশহর, রহমতগঞ্জ, আগ্রাবাদ, অলঙ্কার, বন্দর এলাকা, বিবিরহাট, দুই নম্বর গেট, পাঁচলাইশ, মুরাদপুর, খুলশি, অক্সিজেন, বালুচরাসহ নগরের বিভিন্ন এলাকার বেশিরভাগ বাসাবাড়িতে জ্বলেনি চুলা। তবে যেসব বাসায় তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) আছে, সেখানে রান্নার সমস্যা হয়নি।
বহদ্দারহাট এলাকার বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম আজকের বেলাকে বলেন, হঠাৎ করে গ্যাস সংকট দেখা দেয়। বেলা ১১টা থেকে চেষ্টা করেও দুপুরের রান্না করা সম্ভব হয়নি। একটু করে আসে আবার চলে যায়। পরে হোটেল থেকে খাবার এনে খেতে হয়েছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থী সুজন তার ফেসবুকে পোস্টে লিখেন, ‘বিনা নোটিশে গ্যাস চলে যাওয়া কষ্টের বিষয়। নোটিশ দিয়ে জানালে আমরা আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রাখতাম। ভোরেই রান্নাবান্না সারতাম।’
জানা যায়, চট্টগ্রামে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের মোট গ্রাহক ও সংযোগ আছে ৬ লাখ ১ হাজার ৯১৪টি। এর মধ্যে গৃহস্থালি সংযোগ ৫ লাখ ৯৭ হাজার ৫৬১টি। চট্টগ্রামে দৈনিক গ্যাসের চাহিদা প্রায় ৩২৫ মিলিয়ন ঘনফুট। মহেশখালী এলএনজি টার্মিনাল থেকে পাওয়া যায় ২৭০ থেকে ৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট। বাকি গ্যাস পাওয়া যেত আরেকটি টার্মিনাল থেকে। কিন্তু এখন ওই টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। ফলে সংকট তৈরি হয়েছে।
কেজিডিসিএলের মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) আমিনুর রহমান আজকের বেলাকে বলেন, দুটি টার্মিনাল থেকে গ্যাস পেয়ে থাকে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড। এর মধ্যে সামিটের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় প্রায় ২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাচ্ছি না আমরা। একটা লাইন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মূলত গ্যাস সংকট শুরু হয়েছে। ধারণা করছি, একমাস ধরে এই সংকট চলমান থাকবে।
তিনি বলেন, দিনের বেলায় যেহেতু শিল্প-কারখানা চলে, তাই এই সময়ে একটু সমস্যা থাকবে। তবে রাতে তেমন একটা সংকট থাকবে না।