আগুন সন্ত্রাস করে যারা গর্তে ঢুকেছে, তাদের শায়েস্তা করা হবে

বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‌যারা আগুন সন্ত্রাস চালাচ্ছে, পুলিশ হত্যা করেছে, ইসরায়েলি বাহিনীর অনুকরণে হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে ও সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালিয়ে এখন গর্তে ঢুকেছে তাদের বের করে এনে শায়েস্তা করা হবে।

শনিবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের একটি কনভেনশন সেন্টারে আওয়ামী লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রয়াত আক্তারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভা হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ যৌথভাবে এই স্মরণ সভার আয়োজন করে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির-জামায়াত জোট নেতারা এখন জনশত্রুতে পরিণত হয়েছে। তারা গাড়িতে আগুন দেয়, জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করছে। ডাকাত ডাকাতি করলেও, মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে না। চোর চুরি করে, সেও মানুষের বাড়িতে আগুন দেয় না। কিন্তু তারা (বিএনপি-জামায়াত) মানুষের সহায় সম্পত্তিতে আগুন দিচ্ছে। এরা সন্ত্রাসীর চেয়েও বেশি জঘন্য। এরা জনগণের শত্রু। গাড়িচালক ভাইদের অনুরোধ জানাবো, গাড়িতে আত্মরক্ষার্থে প্রয়োজনে লাঠি ও লোহার রড রাখবেন। কোনো দুর্বৃত্ত আক্রমণ করলে তাকে শায়েস্তা করবেন।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি ভেবেছিল কেউ কোলে করে শিশুদের মত ফিডার খাওয়াতে খাওয়াতে ক্ষমতার দোলনায় বসিয়ে দেবে। সাউন্ড গ্রেনেডের আওয়াজে যারা পালিয়ে যায় তাদের সঙ্গে কেউ থাকে না। সুতরাং তারা কাউকে পাবে না।

আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, দেশের শান্তি শৃঙ্খলা স্থিতি নিশ্চিত করা সরকারি দল হিসেবে আমাদের দায়িত্ব। সেজন্য জনগণের পাশে থাকতে হবে। পাড়া-মহল্লায় দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। বাসে আগুন দিতে যদি কেউ উদ্যত হয়, তাদেরকে ধরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিতে হবে।

তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত এখন রাজনৈতিক দল নয়, এরা রাজনৈতিক কর্মীও নয়, তারা জনশত্রুতে রূপান্তরিত হয়েছে। সেই কারণে তারা নির্বাচনকে ভণ্ডুল করতে চায়। আমরা চাই, তারা এই পথ পরিহার করে নির্বাচনে এসে তাদের জনপ্রিয়তা যাচাই করুক। কিন্তু তারা জনগণকে ভয় পায়, তাই ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালের মতো জনগণের ওপর এখন পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ শুরু করেছে। প্রধান বিচারপতির বাড়ি ও বিচারপতিদের কমপ্লেক্সে হামলা চালিয়েছে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রয়াত আক্তারুজ্জমান চৌধুরী বাবুর সন্তান ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বলেন, আক্তারুজ্জামান চৌধুরী একজন আদর্শবান রাজনীতিবিদ ছিলেন। কখনো তিনি অন্যায়ের সঙ্গে আপোষ করেননি। তিনি তাঁর কর্মগুণে আমাদের মধ্যে অমর হয়ে আছেন। তার জীবনের প্রতিটি কর্ম আজও চট্টগ্রামসহ সারা বাংলাদেশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সরকারের একজন মন্ত্রী হিসেবে আমার সুযোগ হয়েছে সারা বাংলাদেশ ভ্রমণ করার। যেখানেই গেছি, আমার বাবার কথা বললেই মানুষের একটা আলাদা সম্মান আমি দেখেছি। আমি মনে করি, এটি আমার এবং আমার পরিবারের সবচেয়ে বড় পাওনা।

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় এতে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদিকা ওয়াসিকা আয়েশা খান এমপি, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমান, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহারুল ইসলাম চৌধুরী, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ সালাম ও সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান প্রমুখ।

এসআই/আজকের বেলা
আজকের বেলাচট্টগ্রামতথ্যমন্ত্রীবিএনপি
Comments (০)
Add Comment