ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান ও আবাসিক ভবনগুলো যত্রতত্র বর্জ্য ফেললে জরিমানা করার ঘোষণা দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বহদ্দারহাট পুলিশ বক্সের পাশে মাসব্যাপী শুষ্ক মৌসুমে খালের মাটি উত্তোলন কার্যক্রমের উদ্বোধনকালে মেয়র এ ঘোষণা দেন।
চসিক মেয়র বলেন, জলাবদ্ধতা ঠেকাতে আমরা শুষ্ক মৌসুমে খাল-নালা থেকে মাটি তুলছি। সিডিএকে চাপ দিচ্ছি যাতে জলাবদ্ধতা নিরসণ প্রকল্পের আওতায় থাকা খালগুলোর মাটি তোলা হয়। পরিবর্তিত জলবায়ুর কারণে নগরীতে পানি জমলেও দ্রুততম সময়ে সে পানি যাতে অপসারিত হয় সেটি আমাদের লক্ষ্য।
‘তবে কোনো পদক্ষেপই সফল হবে না, যদি না জনগণ খাল নালায় প্লাস্টিক-পলিথিন ফেলা বন্ধ না করেন। আমরা লিফলেট বিতরণ করেছি, পত্রিকায় গণবিজ্ঞপ্তি দিচ্ছি। আমরা চাচ্ছি জনগণকে সচেতন করতে, সম্পৃক্ত করতে। এ মাস থেকে আমরা ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান ও আবাসিক ভবনগুলো যত্রতত্র বর্জ্য ফেললে জরিমানা করা শুরু করব।’— যোগ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ইপিজেডের যানজট কমাবে চসিকের সড়ক: মেয়র রেজাউল
চসিক মেয়র বলেন, চসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগের কিছু কর্মচারীকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। সিভিল ড্রেসে যারা খাল-নালায় ময়লা ফেলে তাদের চিহ্নিত করতে। এরপর আমাদের ম্যাজিস্ট্রেটরা দোষীদের বিরুদ্ধে জরিমানাসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নিবে।
জলাবদ্ধতা কমাতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে জানিয়ে মেয়র বলেন, সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে আমরা বসেছি। সবাইকে নিয়ে নালা-খাল ও ফুটপাতের উপর অবৈধভাবে যেসব দোকান, বাড়ি করা হয়েছে সেগুলোও আমরা ভেঙে দিব।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর এম আশরাফুল আলম, এসরারুল হক, চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার লতিফুল হক কাজমি, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক ও নির্বাহী প্রকৌশলী তৌহিদুল ইসলাম।