ভারী বর্ষণে ডুবল চট্টগ্রাম, বাসায় আটকা মেয়র

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে টানা ভারি বর্ষণ চলছে চট্টগ্রামজুড়ে। বৃষ্টি আর জোয়ারে নগরের নিম্নাঞ্চলসহ অনেক এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। মূল সড়ক ও শহরের অলিগলি কোমরপানিতে ডুবে আছে। বাসা-বাড়িতেও পানি ঢুকে সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক ভোগান্তি।

এদিকে পানিবন্দি বাসায় আটকে পড়েছেন খোদ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।

রেমালের প্রভাবে সোমবার (২৭ মে) ভোর থেকে চট্টগ্রাম নগরসহ আশপাশের এলাকায় ব্যাপক বৃষ্টিপাত শুরু হয়। এদিন সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ১৩২ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড হয়েছে। এই বৃষ্টিকে ভারি বর্ষণ বলছে আবহাওয়া অফিস।

নগরের চকবাজার, বহদ্দারহাট, হালিশহর, আগ্রাবাদ, মুরাদপুর, ষোলশহর দুই নম্বর গেইট, বাকলিয়া, প্রবর্তক মোড়, বাদুরতলসহ বিভিন্ন এলাকা কোথাও হাঁটু পানি, কোথাও কোমর পর্যন্ত পানিতে ডুবে আছে। এতে ছোট তিন চাকার যান চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। বাস, প্রাইভেট কারসহ বড় যানবাহন চলাচলেও বেগ পেতে হচ্ছে।

চকবাজার এলাকার মোহাম্মদ আলী সড়কের বাসিন্দা সৈয়দ মাহমুদ জামিল বলেন, আমার বাসার ভেতরে-বাইরে কোমর পানি। বাথরুমেও পানি উঠে গেছে। বাচ্চারা বাথরুমেও যেতে পারেনি। সোফা, খাট সব পানিতে ডুবে গেছে। বাচ্চাকে স্কুলে নিয়ে যেতে কোনোভাবে বের হয়েছি। পানি আরও ওঠার সম্ভাবনা আছে।

নগরের বহদ্দারহাটে চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর বাসভবন যথারীতি পানিতে তলিয়ে গেছে। মেয়র বাসা ছেড়ে বের হতে না পারায় অফিসে পৌঁছাতে পারেননি। বাসার সামনে জমে থাকা পানি মোটর দিয়ে সড়কে ফেলতে দেখা গেছে।

চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা লতিফুল হক কাজমী বলেন, টানা ভারি বৃষ্টির কারণে পানি জমে থাকছে। আমরা কয়েকটি টিম করেছি। তারা জমে থাকা পানি দ্রুত অপসারণে কাজ করছে।

চট্টগ্রাম নগরীর পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন জায়গাও প্লাবিত হয়েছে। সীতাকুণ্ড, রাউজান, লোহাগাড়া ও ফটিকছড়ি উপজেলার বেশকিছু এলাকাতেও বৃষ্টির পাশাপাশি জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে।

চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাকিব হাসান বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে চট্টগ্রামে ব্যাপক বর্ষণ ও জোয়ারের কারণে বেশকিছু জায়গায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। কিছু জায়গায় সকালে পানি থাকলেও এখন নেই। বৃষ্টি কমলেই পানি কমে যাবে।

আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী, রোববার রাত ৯টার দিকে ঘূর্ণিঝড়ের মূল অংশ তথা কেন্দ্র উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করে। মধ্যরাত নাগাদ কেন্দ্রটি উপকূল অতিক্রম শেষ করে। এরপর ঘূর্ণিঝড়টির নিম্নভাগ উপকূল অতিক্রম শেষ করেছে আজ সোমবার (২৭ মে) ভোর নাগাদ। এখন এটা স্থল নিম্নচাপ আকারে বৃষ্টি হয়ে ঝরছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।

এসআই/আজকের বেলা
আজকের বেলাচট্টগ্রামচসিকবৃষ্টি
Comments (০)
Add Comment