অনেক বিলম্বে হলেও চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়েছে উল্লেখ করে চট্টগ্রাম নগর বিএনপির আহ্বায়ক মো. এরশাদ উল্লাহ বলেছেন, স্বৈরাচারের দোসররা যাতে মানুষের ভরসাস্থল এই প্রেসক্লাবকে ফ্যাসিবাদের প্লাটফর্ম হিসেবে পুনরায় ব্যবহার করতে না পারে সে ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
তিনি ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে স্বৈরাচার সরকারের পতন পরবর্তী সময় থেকে ঐতিহ্যবাহী চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবকে ফ্যাসিবাদ মুক্ত করতে বিশেষ ভূমিকা রাখায় বর্তমান অন্তর্বর্তী কমিটিকে দলের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান এবং ভবিষ্যতে প্রেস ক্লাবের কর্মকাণ্ডে সর্বাত্মক সহযোগীতার আশ্বাস দেন।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় পরিদর্শনে এলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব অন্তর্বর্তী কমিটির সদস্য সচিব দৈনিক আমার দেশ-এর আবাসিক সম্পাদক জাহিদুল করিম কচির সভাপতিত্বে ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় বক্তব্য দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়ার্ল্ড প্রেস কাউন্সিলের সাবেক সদস্য সাংবাদিক মইনুদ্দিন কাদেরী শওকত, এনটিভির ব্যুরো প্রধান শামমুল হক হায়দরী, উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক বেলায়েত হোসেন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও বাসস’র চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান মোহাম্মদ শাহনওয়াজ এবং সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমান।
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব অন্তর্বর্তী কমিটির সদস্য সচিব সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি বলেন, অতীতে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবকে স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের মুখপাত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। ফ্যাসিবাদ মুক্ত হওয়ায় এখন দল-মত নির্বিশেষে সবার জন্য প্রেস ক্লাব উন্মুক্ত।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক গ্রন্থাগার সম্পাদক মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, ৭১ টিভির বিভাগীয় প্রধান সাইফুল ইসলাম শিল্পী, বাসস’র বিশেষ সংবাদদাতা মিয়া মোহাম্মদ আরিফ, সিনিয়র সাংবাদিক ওয়াহিদ জামান, মহানগর বিএনপির সদস্য জাফর আহমদ, বিএনপি নেতা সরোয়ার আলমগীর ও মোহাম্মদ আলমগীর।