মিরসরাইয়ে ৮ বছর আগে বিএনপির দলীয় কার্যালয় ভাংচুরের অভিযোগে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জি. মোশাররফ হোসেনকে প্রধান করে ৯০ জনের নামে মামলা হয়েছে।
সোমবার (১২ অক্টোবর) রাতে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক শাহ মোহাম্মদ হারুন বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। এই মামলায় মো. শহীদ উদ্দীন খাঁন (৪৭) নামে একজনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
মামলায় ইঞ্জি. মোশাররফ হোসেনের মেঝ সন্তান ও চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাহবুব উর রহমান রুহেল, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন, মো. গিয়াস উদ্দিন, এনায়েত হোসেন নয়ন, মিরসরাই পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন, বারইয়ারহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র রেজাউল করিম খোকন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক একেএম জাহাঙ্গীর ভূঁইয়া, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর হোসেন চৌধুরী তপুসহ ১৬ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও মিরসরাই পৌরসভার সকল কাউন্সিলরের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৮০/১০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৬ সালের ৭ সেপ্টেম্বর মিরসরাই উপজেলা সদরে অবস্থিত বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জি. মোশাররফ হোসেন ও সাবেক সংসদ সদস্য মাহবুব রহমান রুহেলের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের ৮০ থেকে ১০০ জনের একটি গ্রুপ দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে ভাংচুর করে। এছাড়া বুলডোজার দিয়ে ভবন গুটিয়ে কার্যালয়ে থাকা টিভি, আসবাবপত্র ভাংচুর করে প্রায় ৬০ লাখ টাকার ক্ষতি করা হয়।
এ সময় বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়। এ ঘটনায় তখন থানায় মামলা করতে গেলে স্বৈরাচার সরকারের অনুসারীদের ভয়ে পুলিশ মামলা গ্রহণ করেনি। উল্টো উপজেলার ১৬ ইউনিয়ন দুই পৌরসভার বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়।
মিরসরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল কাদের আজকের বেলাকে বলেন, ২০১৬ সালের ৭ সেপ্টেম্বর বিএনপির দলীয় কার্যালয় ভাংচুরের অভিযোগে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক শাহ মোহাম্মদ হারুন বাদী হয়ে ৯০ জন ও অজ্ঞাত ৮০/১০০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা ইঞ্জি. মোশাররফ হোসেনকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এই মামলার এজাহারনামীয় আসামি মো. শহীদ উদ্দীন খাঁন নামে একজনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।