২০ বছর ‘আড়ালে থাকা’ শীর্ষ সন্ত্রাসী আজিজুল হক গ্রেফতার

প্রায় ২০ বছর ধরে আত্মগোপনে থাকা চট্টগ্রামের এক ‘শীর্ষ সন্ত্রাসীকে’ গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। ২২ বছর আগে রাউজানে এক বৌদ্ধভিক্ষুকে নৃশংসভাবে খুনের মামলার আসামি তিনি।

রোববার (২৪ নভেম্বর) রাতে নগরের কোতোয়ালী থানার লালদিঘীর পাড়ে হোটেল সোনালীর সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গ্রেফতার আজিজুল হক (৫১) চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার ডাবুয়া ইউনিয়নের উত্তর হিঙ্গলা গ্রামের বাসিন্দা। শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে তার নাম এক সময় চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের তালিকায় ছিল।

র‌্যাব-৭ এর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, শীর্ষ সন্ত্রাসী আজিজুল হকের বিরুদ্ধে রাউজান থানায় হত্যা, অস্ত্র, অপহরণ, চুরি এবং ডাকাতির অভিযোগে ১২টি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে, একাধিক মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা আছে।

জানা গেছে, রাউজানের একটি প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারের ঘনিষ্ঠ আজিজুল হক দুই যুগ আগে যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল।

২০০২ সালের ১১ এপ্রিল রাউজান উপজেলার হিঙ্গলা বৌদ্ধআশ্রমের পরিচালক জ্ঞানজ্যোতি ভিক্ষুকে তার কক্ষে নৃশংসভাবে জবাই করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় দেশে-বিদেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছিল।

বৌদ্ধভিক্ষু খুনের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার অন্যতম আসামি করা হয়েছিল আজিজুল হককে। সেসময় দেশে আত্মগোপনে থেকে গ্রেফতার এড়াতে পারলেও ২০০৪ সালে সেনাবাহিনীর পরিচালিত ‘অপারেশন ক্লিনহার্ট’ অভিযানে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তবে অল্পদিনের মধ্যেই জামিনে বেরিয়ে আসে এবং মধ্যপ্রাচ্যে পালিয়ে যায়। প্রায় ২০ বছর বিদেশে অবস্থানের পর সম্প্রতি রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সুযোগে দেশে ফিরে আবার এলাকায় সক্রিয় হন।

র‍্যাব জানিয়েছে, প্রায় ২২ বছর ধরে আত্মগোপনে থাকার কথা আজিজুল হক স্বীকার করেছে। বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এড়াতে চট্টগ্রাম জেলা এবং মহানগরীর বিভিন্নস্থানে আত্মগোপন করে ছিল বলে র্যাবকে জানিয়েছে।

সম্প্রতি আজিজুল হকের বিরুদ্ধে রাউজানে এক প্রবাসীর বাড়িতে অগ্নিসংযোগে জড়িত থাকারও অভিযোগ ওঠে।

এসআই/আজকের বেলা
Comments (০)
Add Comment