মিরসরাইয়ের ওয়াহেদপুর ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফজলুল করিম হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো. শাকিল হোসেনকে ৭ বছর পর গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
মো. শাকিল হোসেন (২৬) চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলার ছরারকুল এলাকার কামাল হোসেনের ছেলে। নিহত ফজলুল করিম নিজামপুর গ্রামের বাসিন্দা শফিউল আলমের ছেলে।
রোববার (২৬ মে) রাত পৌনে ৮টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ফেনীর স্টার লাইন ফিলিং স্টেশনের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব-৭ সূত্র জানায়, ২০১৭ সালের ২৩ জানুয়ারি নিজামপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ওয়াহেদপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক নুরুল আমিন মুহুরী নিহত হয়।
এ ঘটনার জেরে ৫ সেপ্টেম্বর দুপুরে ফজলুল করিম তার নিজ বাড়িতে খাবার খাওয়ার সময় পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী আসামি শাকিল ও ১২-১৫ জন সহযোগী অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় ফজলুল করিম আত্মরক্ষার্থে দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করলে দুর্বৃত্তরা তাকে ধাওয়া করে লাঠিসোঁটা দিয়ে পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে ফজলুল করিম মৃত্যুবরণ করে। এ ঘটনায় তার পিতা মিরসরাই থানায় ১২ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. শরীফ উল আলম জানান, ফজলুল করিম হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো. শাকিল হোসেন ফেনী জেলার ফেনী মডেল থানাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের স্টার লাইন ফিলিং স্টেশনে সামনে অবস্থান করছেন— এমন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭ এর একটি আভিযানিক দল তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার আসামিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করেন, তিনি এবং তার অন্যান্য সহযোগীরা রাজনৈতিকভাবে প্রভাব বিস্তার ও পূর্ব বিরোধের জেরে ভিকটিম ফজলুল করিমকে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করে।
তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তার আসামি মো. শাকিল হোসেনের বিরুদ্ধে মিরসরাই থানায় একটি হত্যা ও একটি হত্যাচেষ্টা এবং জোরারগঞ্জ থানায় একটি হত্যা চেষ্টামামলাসহ ৩টি মামলা রয়েছে।