কোটা সংস্কারের পক্ষে আন্দোলনের অংশ হিসেবে সমন্বয়কদের একাংশের আদালত, ক্যাম্পাস ও রাজপথে ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ পদযাত্রা কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ করেছে আন্দোলনকারীরা। তারা ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’সহ বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিচ্ছেন।
ঠিক তাদের পেছনেই অবস্থান করছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ফলে পুরো আদালতপাড়ায় এখন থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
বুধবার (৩১ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টায় নগরের কোতোয়ালী থানাধীন লালদীঘির পাড় এলাকার জেলা পরিষদ ভবনের সামনের সড়কে আন্দোলন শুরু করে তারা। পরে আইনজীবীদের একপক্ষ আন্দোলনে যোগ দিলে তাদের সহায়তায় শিক্ষার্থীরা আদালত ভবনের দিকে যাত্রা করে।
সরেজমিন দেখা যায়, জেলা পরিষদ ভবনের সামনে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। তবে আধাঘণ্টার মধ্যে সড়ক থেকে সরে আসতে আন্দোলনকারীদের আল্টিমেটাম দেয় পুলিশ। এসময় আইনজীবীদের একটি দল মিছিল নিয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে যোগ দেয়। পরে শিক্ষার্থী ও আইনজীবীদের সম্মিলিত দলটি মিছিল নিয়ে আইনজীবী ভবনের সামনে অবস্থান নেয়। পরে আইনজীবী ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দেয় শিক্ষার্থী ও তাদের সমর্থক আইনজীবীরা।
ঘটনাস্থলে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) আ স ম মাহতাব উদ্দিন, কোতোয়ালী জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) অতনু চক্রবর্তী, কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবায়দুল হক উপস্থিত ছিলেন। আন্দোলনের বিষয়ে কথা বলার চেষ্টা করা হলে কেউ মন্তব্য করতে রাজি হননি।
চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আশরাফ হোসেন চৌধুরী রাজ্জাক শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে বলেন, ‘আমি সাধারণ শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করছি। আমরা চাই শান্তিপূর্ণ আন্দোলন। আমাদের প্রতিবাদের ভাষা হবে মুখে, হাতে নয়। আমি চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে পুলিশ প্রশাসনকে বলেছি, এখানে কোনো নৈরাজ্য সৃষ্টি হবে না।’
সারাদেশে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও হত্যার প্রতিবাদে ৯ দফা দাবি আদায়ে আন্দোলনকারীদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়।