ব্লগার রাজীব হায়দার হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান মুফতি জসীম উদ্দিন রাহমানী কাশিমপুর কারাগার জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।
সোমবার (২৬ আগস্ট) বেলা সোয়া ১১টায় গাজীপুরের কাশিমপুর হাই-সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান। কাশিমপুর হাই-সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার রেজাউল করীম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
২০১৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পল্লবী থানার পলাশনগরে নিজ বাড়ির সামনে ব্লগার রাজীব হায়দারকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় রাজীবের বাবা পল্লবী থানায় মামলা করেন। ২০১৩ সালের ১২ আগস্ট জসীম উদ্দিন রাহমানীকে বরগুনা থেকে গ্রেফতার করা হয়। ঢাকার একটি আদালত ব্লগার রাজীব হায়দার হত্যা মামলায় তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইন এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনসহ মোট চারটি মামলা হয়।
কাশিমপুর হাই-সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার রেজাউল করীম জানান, মুফতি জসীম উদ্দিন রাহমানী বিরুদ্ধে ২০০৮ সালে ৬ ফেব্রুয়ারি উত্তরা পশ্চিম থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় রাহমানীকে জামিন দেওয়া হয়। রবিবার (২৫ আগস্ট) আদালত থেকে তাকে জামিন দেয়। অন্য মামলাগুলো প্রত্যাহার করা হয়েছে। জামিনের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, গত ১৫ আগস্ট নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান জসিম উদ্দীন রহমানী প্যারোলে মুক্তি পেয়ে হেলিকপ্টারে বরগুনা গিয়ে বোনের জানাজায় অংশ নেন। এদিন কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে সকাল ৯টায় তিন ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি পান তিনি। সকাল ১০টায় বরগুনা সার্কিট হাউস মাঠে জানাজা পড়ানো শেষে তাকে কারাগারে নেওয়া হয়।