কক্সবাজারের উখিয়ায় জালিয়াপালংয়ে র্যাবের টহল দলের ওপর হামলার ঘটনায় গুলিবিদ্ধ জাগির হোসেন (৩৮) নামে এক বিএনপি নেতার মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তার মৃত্যুর প্রতিবাদে আগামীকাল বুধবার কক্সবাজার জেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে জেলা বিএনপি।
কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. শামীম আরা স্বপ্না এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেন।
জাগির হোসেন উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও পাইন্যাশিয়া গ্রামের মৃত মো. আলমের ছেলে।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জাগিরের ভাতিজা শিহাব উদ্দিন আজকের বেলাকে বলেন, ঘটনার সময় তার চাচার (জাগির) পেটে গুলি লাগে। এরপর তাকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন।
এদিকে নিহত জাগির হোসেন উখিয়া থানায় র্যাবের করা মামলায় ১৪ নম্বর আসামি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, গত রোববার মধ্যরাতে র্যাবের টহল দল নাশকতা মামলার আসামি উখিয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সোলতান মাহমুদ চৌধুরীসহ অন্য আসামিদের ধরতে জালিয়াপালং ইউনিয়নের পাইন্যাশিয়া গ্রামে যায়। এ সময় বিএনপির কয়েক’শ নেতা-কর্মী লাঠিসোঁটা নিয়ে র্যাবের ওপর হামলা চালায় এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। ইট-পাটকেলের আঘাতে র্যাবের একটি গাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একপর্যায়ে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হন জাগির হোসেনসহ তিন জন।
এ ঘটনায় বিএনপির ৪২ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে র্যাব বাদী হয়ে মঙ্গলবার সকালে উখিয়া থানায় একটি মামলা করে। মামলার এজাহারে অজ্ঞাতনামা ‘অনেক আসামি’ এর কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী আজকের বেলাকে বলেন, র্যাবের ওপর হামলার ঘটনায় ৪২ বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তবে এ মামলায় মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি।
তিনি বলেন, উভয় পক্ষের গোলাগুলিতে আহত জাগির হোসেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরীর র্যাবের ওপর হামলার ঘটনাটি ‘ভুল-বোঝাবুঝি’ দাবি করে আজকের বেলাকে বলেন, র্যাবকে না চিনতে পেরে এ ঘটনাটি ঘটেছে। এ ঘটনায় বিএনপির তিন নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তার মধ্যে জাগির হোসেন মারা গেছেন।