প্রায় তিন মাস রাজনৈতিক অস্থিরতা ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে পর্যটকের খরা চলছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে। চলতি মাসে সেই খরা কাটিয়ে এখন পর্যটকে মুখর কক্সবাজার। ছুটির দিনে হোটেল-মোটেলে ঠাঁই হচ্ছে না।
পর্যটকদের এখন কক্সবাজার ভ্রমণে বেশি আগ্রহ ট্রেনে। পর্যটকদের চাহিদা বিবেচনায় নিয়ে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ কক্সবাজার-ঢাকা রেলপথে ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে পাঁচদিনের বিশেষ ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) থেকে এই বিশেষ ট্রেন চালু হবে। মঙ্গলবার রাত ১১টায় রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে যাত্রী নিয়ে কক্সবাজারের উদ্দেশে যাত্রা করবে প্রথম ট্রেনটি। যা পরেরদিন বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টায় কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনে পৌঁছাবে।
কক্সবাজার আইকনিক রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ গোলাম রব্বানী রোববার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি আজকের বেলাকে বলেন, আগামী ২০ ও ২৯ ফেব্রুয়ারি এবং ৭ মার্চ বিশেষ ট্রেনটি রাত ১১টায় ঢাকা থেকে ছাড়বে এবং কক্সবাজার পৌঁছাবে পরদিন সকাল ৮টায়। একইভাবে ট্রেনটি আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি ও ৬ মার্চ কক্সবাজার থেকে ছাড়বে এবং ঢাকায় পৌঁছাবে ভোর ৪টায়। এছাড়া বিশেষ আরেকটি ট্রেন আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৪টায় কক্সবাজার থেকে ছাড়বে এবং চট্টগ্রাম পৌঁছাবে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়।
স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ গোলাম রব্বানীর দেওয়া তথ্য মতে, বিশেষ ট্রেনটিতে ১৪টি কোচ রয়েছে। এর মধ্যে ৪৫০টি শোভন চেয়ার এবং ২২০টি এসি চেয়ার। টিকেটের মূল্য ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ ও ‘পর্যটক এক্সপ্রেসে’র মতো।
‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ ও ‘পর্যটক এক্সপ্রেস’ ট্রেনে ঢাকা-কক্সবাজার এসি (স্নিগ্ধা) ভাড়া এক হাজার ৩২৫ টাকা এবং নন-এসি (শোভন চেয়ার) ভাড়া ৬৯৫ টাকা। একই ট্রেনে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ভাড়া (এসি) ৪৭০ টাকা এবং (নন-এসি) ২৫০ টাকা।
এদিকে এই রুটে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের যাত্রীদের জন্য একটি কমিউটার ট্রেন চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ মাসের শুরুতে এই ট্রেনটি চালু হওয়ার কথা থাকলেও ইঞ্জিন সংকটের কারণে পিছিয়েছে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছরের ১১ নভেম্বর নবনির্মিত দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথের উদ্বোধন করেন। এরপর ১ ডিসেম্বর থেকে বিরতিহীন কক্সবাজার এক্সপ্রেস চলাচলের মধ্যে দিয়ে এই রুটে বাণিজ্যিকভাবে যাত্রী পরিবহন শুরু করা হয়। পরে ১০ জানুয়ারি দ্বিতীয় ননস্টপ আন্তঃনগর ট্রেন পর্যটক এক্সপ্রেস চালু হয়। এ পর্যন্ত এই ট্রেন দুটিই যাত্রী পরিবহন করে আসছে।