চট্টগ্রামে রিকশাচালকের হাতে খুন হয়েছেন আরেক রিকশাচালক। লুডু খেলায় বিতন্ডার জের ধরে খাওয়া থাপ্পড়ের শোধ নিতে এ হত্যাকাণ্ড বলে বলছে পুলিশ।
গত ৩০ মে নগরের বন্দর থানার কাস্টম ব্রিজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মো. আরিফ (২৮) নামে আরেক রিকশাচালককে গ্রেপ্তারের পর এসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
খুনের শিকার ভিকটিমের নাম আলমগীর ফকির (৬৫)। গ্রেপ্তার মো. আরিফ ভোলা জেলার তজুমুদ্দিন থানার দেওয়ানপুর গ্রামের ভুঁইয়া বাড়ির মৃত আবদুল পাটোয়ারীর ছেলে। তিনি নগরের বন্দর থানার মধ্যম হালিশহর এলাকার ধুপপুলে গনি মাজনের বাড়িতে বাড়ায় থাকেন। পেশায় তিনি রিকশাচালক।
পুলিশ জানায়, নিহত আলমগীর এবং গ্রেপ্তার আরিফ একই গ্যারেজের রিকশা চালাতেন। গ্যারেজের ভেতরে লুডু খেলার একপর্যায়ে বাকবিতণ্ডায় জড়ান তারা। এ সময় নিহত আলমগীর আরিফকে একটি থাপ্পড় মারেন। এরপর তিনি প্রতিশোধের নেশায় গত ৩০ মে রাত আড়াইটার পর আলমগীরের রিকশায় চড়ে তাকে নিয়ে কাস্টম ব্রিজের ঢালে যান। পরিকল্পনা অনুযায়ী একটি লোহার রেঞ্জ দিয়ে মাথায় এবং বুকে আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করেন।
এরপর তাকে টেনেহিঁচড়ে মরদেহ ঝোপের মধ্যে আড়াল করে। এরপর রিকশা নিয়ে খুলশী থানার আমবাগান এলাকায় সাড়ে ৩ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন। পরে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে চট্টগ্রাম কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে তার পরিচয় শনাক্ত করা হয়। নিহত আলমগীরের ছেলে মো. মিরাজ চমেক হাসপাতালে গিয়ে তার বাবার লাশ শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে একটি এজাহার দায়ের করেন। মামলা রুজুর পর সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে আমরা আসামিকে শনাক্ত করি এবং তাকে গ্রেপ্তার করি।’
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (বন্দর) বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘মূলত লুডু খেলাকে কেন্দ্র করেই এই ঘটনার সূত্রপাত। এই খেলা নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হলে তার ক্ষোভ আসামি আরিফ তার মনে পুষে রাখে এবং প্রতিশোধপ্রবণ হয়। পরবর্তীতে প্রতিশোধ নিতেই কৌশলে ভিকটিম আলমগীরকে ডেকে নিয়ে লোহার রেঞ্জ দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে। ভিকটিমের ছেলের দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আসামিকে আদালতে পাঠানো হবে।’