সাত বছর আগে ছাত্রদলের সাবেক এক কেন্দ্রীয় নেতাকে খুনের ঘটনায় রাউজান আসনের তৎকালীন সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীসহ ৫৭ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) রাতে নগর পুলিশের চকবাজার থানায় খুনের শিকার সাবেক ছাত্রদল নেতা নুরুল আলম নুরুর স্ত্রী সুমি আক্তার বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন– রাউজানের নোয়াপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন ইনচার্জ উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. জাবেদ, বাবুল মেম্বার, মো. নাসের, মো. লিটন, তৈয়ব, ফরিদ, মামুন, আবু জাফর রাশেদ, ইয়ার মোহাম্মদ সেকান্দর, জসিম, খালেদ, বাবুল রব্বানি, হাসান মোহাম্মদ নাসির ও মো. মোর্শেদ।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০১৭ সালের ২৯ মার্চ রাতে নগরীর চকবাজার থানার চন্দনপুরার পশ্চিম গলি এলাকায় ‘মিন্নি মহল’ নামে বাসায় গিয়ে এসআই জাবেদ ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক নুরুল আলম নূরকে ঘুম থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরে তাকে নোয়াপাড়া কলেজ ক্যাম্পাসে নিয়ে গিয়ে অমানুষিক শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়। এরপর তার মাথায় গুলি করে খুনের পর রাউজান বাগোয়ান ইউনিয়নের খেলারঘাট কর্ণফুলী নদীর তীরে লাশ ফেলে দেওয়া হয়। পরদিন ৩০ মার্চ নুরুর লাশ উদ্ধার করা হয়। ৩১ মার্চ ময়নাতদন্ত শেষে তার লাশ দাফন করা হয়।
রাউজানের তৎকালীন সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর নির্দেশে নুরকে খুন করা হয় বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।
চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়ালী উদ্দিন আকবর জানান, সাত বছর আগে সাবেক ছাত্রদল নেতাকে খুনের ঘটনায় চট্টগ্রামের রাউজান আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৩০ থেকে ৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে।