৪১তম বিসিএসের নন-ক্যাডারের ফল প্রকাশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এতে ৩ হাজার ১৬৪ জনকে নিয়োগ সুপারিশ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) পিএসসির পরিচালক (নন-ক্যাডার) উম্মে আছমা আয়শা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
দুপুরে পিএসসির ওয়েবসাইটে নন-ক্যাডারের ফল প্রকাশ করা হয়। এর মধ্যে ৯ম গ্রেডে ৯৫৫ জন, ১০ম গ্রেডে ১ হাজার ৮০০ জন, ১১তম গ্রেডে ১৮ জন এবং ১২তম গ্রেডে ৩৯১ জন প্রার্থীকে সুপারিশ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ (বিশেষ) বিধিমালা-২০২৩ এর বিধান অনুযায়ী এ সুপারিশ করা হয়েছে; সুপারিশের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা, মেধাক্রম এবং সংশ্লিষ্ট পদের নিয়োগবিধির শর্ত অনুসরণ করা হয়েছে।
নিয়োগের পূর্বে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে স্বাস্থ্য পরীক্ষা, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, অন্যান্য ডকুমেন্টসের সত্যতা যাচাই, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে প্রার্থীর উচ্চতা, বুকের মাপ এবং ওজন সম্পর্কিত তথ্য এবং সুপারিশের পূর্ববর্তী জীবন-বৃত্তান্ত যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক যাচাইয়ের পর নিশ্চিত হয়ে সুপারিশ প্রাপ্তদের নিয়োগ প্রদান করতে হবে।
পরে যে কোনো সময় সাময়িকভাবে সুপারিশকৃত কোন প্রার্থীর যোগ্যতার শর্তের অপূর্ণতা থাকলে, দুর্নীতি, জালিয়াতি, অসত্য তথ্য প্রদান বা অন্য কোনো ক্ষেত্রে যেমন যাচিত সনদ/প্রত্যয়ন /কাগজ পত্রাদি যথাযথ না থাকলে বা কোন গুরুতর (Substantive) ভুল-ত্রুটি পরিলক্ষিত হলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর সাময়িক সুপারিশ বাতিল করা হবে। চাকরিতে নিয়োগের পরও বর্ণিত ক্ষেত্রসমূহে কোনো অনিয়ম প্রকাশ বা প্রমাণ হলে প্রার্থীকে চাকরি হতে বরখাস্ত করা ছাড়াও প্রার্থীর বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে।
প্রকাশিত ফলাফলে কোনো ভুল-ত্রুটি পরিলক্ষিত হলে তা সংশোধনের ক্ষমতা বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন সংরক্ষণ করে। এই সুপারিশ প্রার্থীর নন-ক্যাডার পদে চাকরি প্রাপ্তির নিশ্চয়তা প্রদান করবে না বা অধিকার জন্মাবে না।
কমিশনের নিকট হতে সুপারিশ প্রাপ্তির পর নিয়োগসংক্রান্ত সকল বিধি-বিধান ও আনুষ্ঠানিকতা প্রতিপালনপূর্বক নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ ওই সুপারিশের ভিত্তিতে নিয়োগ প্রদান করতে পারবে।