চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় জড়িত বাসচালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জেলা বিশেষ শাখা) আবু তৈয়ব মোহাম্মদ আরিফ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার বাসচালক মো. তাজুল ইসলাম রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার উত্তর ঘাটচেক এলাকার বাসিন্দা। তিনি শাহ আমানত বাসের চালক ছিলেন।
আবু তৈয়ব মোহাম্মদ আরিফ হোসেন জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় চুয়েটের দুই শিক্ষার্থীর নিহতের ঘটনায় জড়িত বাসচালককে নগরের কোতোয়ালি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন চক্রবর্তী জানান, চুয়েটের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় বাসচালক ও সহযোগীকে আসামি করে মামলা হয়েছিল। মূলত দুর্ঘটনার পরপরই বাসচালক ও সহযোগী পালিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দুর্ঘটনার পর থেকেই তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রাখি। বুধবার দুপুরে বাসচালককে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।’
এর আগে সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সেলিনা কাদের চৌধুরী কলেজ সংলগ্ন চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে শাহ আমানত বাসের ধাক্কায় চুয়েটের দুই শিক্ষার্থী নিহত ও একজন আহত হন।
নিহতরা হলেন— শান্ত সাহা ও তৌফিক হোসেন। শান্ত সাহা পুরকৌশল বিভাগের ২০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী (আইডি-২০০১১০০)। তিনি নরসিংদীর কাজল সাহার ছেলে। আর তৌফিক হোসেন একই বিভাগের ২১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী (আইডি-২১০১০০৬)। তিনি নোয়াখালীর সুধারামের নিউ কলেজ রোডের মোহাম্মদ দেলোয়ারের ছেলে। আহত জাকারিয়া হিমু ২১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তিনি বর্তমানে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।