নতুন শাটলের জন্য গণস্বাক্ষর নেবে চবি প্রশাসন, যাবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে

শিক্ষার্থীদের জন্য একটি নতুন শাটল চেয়ে এবার সরাসরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর আবেদন করবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) কর্তৃপক্ষ। আবেদনের সাথে অন্তত পাঁচ হাজার শিক্ষার্থীর স্বাক্ষর জমা দেওয়া হবে। আগামী রোববার (২৬ মে) থেকে এক সপ্তাহ ধরে চলবে স্বাক্ষর সংগ্রহের কাজ।

আজকের বেলাকে এসব তথ্য জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ অহিদুল আলম।

চট্টগ্রাম শহর থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে হাটহাজারী উপজেলার জোবরা গ্রামে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান। শহর থেকে ক্যাম্পাসে যাতায়াতের জন্য শিক্ষার্থীদের প্রধান বাহন এই শাটল ট্রেন। ক্যাম্পাস খোলা থাকলে দুইটি ট্রেন ক্যাম্পাস-শহর রুটে ৯ বার আসা যাওয়া করে। এতে প্রতিদিন প্রায় ১৫ হাজার শিক্ষার্থী যাতায়াত করেন।

শাটলে পর্যাপ্ত আসন, ফ্যান না থাকায় তীব্র গরম আর গাদাগাদি করে শিক্ষার্থীদের আসা যাওয়া করতে হয়। তীব্র গরমে প্রতিদিনই কয়েকজন শিক্ষার্থী অজ্ঞান হয়ে যায়। আবার ভেতরে দাঁড়ানোর জায়গা না পেয়ে বাধ্য হয়ে উঠতে হয় শাটলের ছাদেও। আর এতে প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা।

শাটলের সময়সূচি বাড়ানো জন্য রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে বারবার অনুরোধ করেও কোন সুফল মেলেনি। অন্যদিকে ২০১৯ সালে রেলমন্ত্রী একটি নতুন শাট ট্রেন দেওয়ার ঘোষণা দিলেও পাঁচ বছরেও তার দেখা মেলেনি। এমন পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ ছাড়া বিকল্প উপায় দেখছে না বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

প্রক্টর ড. অহিদুল আলম বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন শাটল ট্রেন চালু হয়েছে তখন শাটলের সংখ্যা ছিল একজোড়া। সময়ের পরিক্রমায় বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভাগ বেড়েছে, শিক্ষার্থীর সংখ্যাও বেড়েছে কয়েকগুণ। কিন্তু শাটল ট্রেন আগের মতোই আছে। বিদ্যামান শাটল ট্রেন শিক্ষার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত নয়।

প্রক্টর বলেন, শাটল ট্রেনের শিডিউল বাড়াতে আমরা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করেছি। নতুন শাটলের ট্রেনের জন্য আমরা প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করব। আমরা অন্তত পাঁচ হাজার শিক্ষার্থীর স্বাক্ষর সংগ্রহ করে নতুন ট্রেনের আবেদন প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে দেব। আবেদন পত্রে নতুন শাটল ট্রেন কেন প্রয়োজন সে বিষয়ে বিস্তারিত উল্লেখ থাকবে। আশা করি প্রধানমন্ত্রী আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি নতুন শাটল ট্রেন উপহার দেবেন।

ড. অহিদুল আলম বলেন, আগামী রোববার থেকে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ শুরু হবে৷ প্রথমে ক্লাস প্রতিনিধিদের মাধ্যমে স্বাক্ষর সংগ্রহ করা হবে৷ পরে প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেশনে একটি বুথ স্থাপন করা হবে।

এসআই/আজকের বেলা
আজকের বেলাচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়প্রধানমন্ত্রীশাটলশেখ হাসিনাস্বাক্ষর
Comments (০)
Add Comment