জাতীয় নির্বাচনে দেশের সব রাজনৈতিক দলকে অংশগ্রহণ করতে হবে – এ রকম কোনো আইন নেই বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা। পাশাপাশি তিনি এও প্রশ্ন রেখেছেন, কোনো দল যদি স্বেচ্ছায় অংশগ্রহণ না করে তাহলে কমিশন কীভাবে তাদের নির্বাচনে আনবে।
রাশেদা সুলতানা বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত ৪৪টি দলের ৩০টি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে; অর্থাৎ বেশিরভাগ দলই অংশগ্রহণ করছে।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে বগুড়া বিয়াম ফাউন্ডেশনের অডিটোরিয়ামে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে ইসি রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘যাদের (রাজনৈতিক দল) ইচ্ছা নেই, তাদের আমরা কীভাবে নির্বাচনে আনব। আমরা তো তবুও চেষ্টা করেছি। কেউ যদি না আসে, সেজন্য নির্বাচন হবে না – সেটি কিন্তু নয়, নির্বাচন আইনত হয়ে যাবে।’
বিএনপি নির্বাচনে আসবে– নির্বাচন কমিশন এখনও সেই আশা করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যদি তারা আসে, অবশ্যই আমরা বিবেচনায় (নির্বাচনের তারিখ) নেব। তবে সেটি নির্বাচনকালীন মেয়াদ ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত (নির্বাচন আয়োজনের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা)। এই সময়ের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘নির্বাচনে সেনাবাহিনী স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকবে। তবে তাদের কোনো ম্যাজিস্ট্রি পাওয়ার থাকবে না।’