সংঘর্ষ-সংঘাতে ফুরাল ৪ উপজেলার ভোট

দক্ষিণ চট্টগ্রামের আনোয়ারা, চন্দনাইশ, বোয়ালখালী ও পটিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। সংঘাত, সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ব্যালট ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে চার উপজেলাতেই। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় একটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণও স্থগিত হয়েছে।

বুধবার (২৮ মে) সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট পার হতেই শতাধিক লোক হামলা চালায় পটিয়ার কাশিয়াইশ ইউনিয়নের পূর্ব পিঙ্গলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে। ওই কেন্দ্রের ৫৫১টি ব্যালট পেপার, ৯টি ব্যালট বই, মার্কিং সিল ও অফিসিয়াল সিল ছিনতাই করে নিয়ে যায় তারা। এ ঘটনার পর তাৎক্ষণিক ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেন দায়িত্বরত প্রিজাইডিং অফিসার। এর কিছুক্ষণ পরই কেন্দ্রটির ভোটগ্রহণ স্থগিত ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

এদিন সকাল ১১টার দিকে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে আনোয়ারাতে। বরুমছড়া আখতারুজ্জমান উচ্চ বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্রে চেয়ারম্যান প্রার্থী তৌহিদুল হক চৌধুরীর সমর্থকদের সঙ্গে কাজী মুজাম্মেল হকের সমর্থকদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। এতে মোহাম্মদ মামুন ও মির্জা জাহিদ হাসান নামে দুই সমর্থক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পরে উপজেলার হাইলধর ও বারশাত ইউনিয়নের কয়েকটি ওয়ার্ডেও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। দুই প্রার্থীর মারমুখী অবস্থানের কারণে হাইলধর বশিরুজ্জামান স্মৃতি শিক্ষা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত রাখা হয় আধ ঘণ্টা। ওই কেন্দ্রে লাটিসোটা নিয়ে অবস্থান নিয়েছিলেন দুই প্রার্থীর সমর্থকরা।

বোয়ালখালী পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মিরপাড়া হাজি হামিদুল হক প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে চেয়ারম্যান প্রার্থী জাহেদুল হক ও মোহাম্মদ শফিকের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এছাড়া শাকপুরা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড আজগর আলী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে জাল ভোট দেওয়ার সময় একজনকে করা হয়। ছুরি ও লোহার রড হাতে ঘোরাঘুরির সময় চরণদ্বীপ রজবিয়া ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রের সামনে থেকে একজনকে আটক করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

চন্দনাইশেও বিক্ষিপ্ত কয়েকটি ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে চন্দনাইশে।

চার উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী যারা…

পটিয়া: পটিয়ায় চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র হারুনুর রশিদ (আনারস) এবং চট্টগ্রাম নগর যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক দিদারুল আলম (দোয়াত-কলম) প্রতীকে লড়ছেন।

আনোয়ারা: বর্তমান চেয়ারম্যান তৌহিদুল হক চৌধুরী (দোয়াত-কলম), উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কাজী মোজাম্মেল হক (আনারস), এম, এ, মান্নান চৌধুরী (মোটর সাইকেল)। এরমধ্যে ভোটের মাঠ থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণায় ‘কাগুজে’ প্রার্থী এম এ মান্নান চৌধুরী (মোটর সাইকেল)।

চন্দনাইশ: জসীম উদ্দীন আহমেদ (মোটর সাইকেল), আরিফুল ইসলাম চৌধুরী (দোয়াত-কলম), আহম্মদ হোসেন (আনারস), আবু আহমেদ চৌধুরী (ঘোড়া)। ভোটের মাঠ থেকে নিজেকে গুটিয়ে এ উপজেলায় ‘কাগুজে’ প্রার্থী আরিফুল ইসলাম চৌধুরী।

বোয়ালখালী: এস এম নুরুল ইসলাম (টেলিফোন), রেজাউল করিম (দোয়াত-কলম), এস এম সেলিম (কাপ-পিরিচ), মো. শফিক (আনারস), মোহাম্মদ শফিউল আলম (ঘোড়া), মোহাম্মদ জাহেদুল হক (হেলিকপ্টার), নুরুল আমিন চৌধুরী (মোটর সাইকেল)।

এসআই/আজকের বেলা
Comments (০)
Add Comment