নির্বাচন বাতিল চেয়ে পাকিস্তানের সুপ্রিমকোর্টে আবেদন

পাকিস্তানে গত ৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাপক আলোচিত ও সমালোচিত এ নির্বাচন বাতিল ঘোষণার আবেদন জানিয়েছেন আলী খান নামের এক নাগরিক। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে আগামী সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দেশটির সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হবে।

পাক সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, প্রধান বিচারপতি কাজী ফাইজ ঈসার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের একটি বেঞ্চ এই শুনানিতে অংশ নেবেন। এতে প্রধান বিচারপতি ঈসা ছাড়াও আরও রয়েছেন বিচারপতি মুহাম্মদ আলী মাজহার এবং বিচারপতি মুসারাত হিলালী। নির্বাচন বাতিলের আবেদনে বিবাদী করা হয়েছে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে।

আলী খান নামের ওই ব্যক্তি ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন বাতিল করাসহ আগামী ৩০ দিনের মধ্যে নতুন নির্বাচন আয়োজনের আবেদন জানিয়েছেন। এছাড়া নতুন নির্বাচন বিচার বিভাগের তত্ত্বাবধানে করার আবেদনও জানিয়েছেন তিনি। যেন নির্বাচনের ‘সততা, স্বচ্ছতা এবং দায়বদ্ধতা’ নিশ্চিত হয়।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জাতীয় পরিষদের ২৬৬টি আসনের মধ্যে ৯২টি আসনে জয় পায়। নওয়াজ শরীফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ-এন (পিএমএল-এন) পায় ৭৫টি আসন। আর বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) প্রার্থীরা ৫৪টি আসনে জয় পান। আর বাকি আসনগুলোতে অন্য ছোট দলগুলো জয় তুলে নেয়।

এর আগে গতকাল সিন্ধ হাইকোর্ট করাচি ও হায়দ্রাবাদের ৫৮টি আসনের ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণের জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঠিয়েছেন।

নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ তুলে আগামীকাল শনিবার পুরো পাকিস্তানে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে ইমরান খানের পিটিআই। দলটি দাবি করেছে, তারা ১৮০টি আসনে জয় পেলেও; বাকি আসনগুলোর ফলাফল পাল্টে দিয়ে তাদের একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে।

এসআই/আজকের বেলা
আজকের বেলানির্বাচনপাকিস্তান
Comments (০)
Add Comment