ইসরায়েল ও গাজার মধ্যবর্তী কেরেম শালোম সীমান্ত ক্রসিংয়ে রকেট হামলা চালিয়েছে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। রোববার (৫ মে) এ হামলা চালানো হয়।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, রকেট হামলায় তাদের তিন সেনা নিহত ও ১১ জন আহত হয়েছেন।
সোমবার (৬ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি। প্রতিবেদনে বলা হয়, হামাসের সশস্ত্র শাখা কেরেম শালোম ক্রসিংয়ে হামলার দায় স্বীকার করেছে।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ১০টি প্রজেক্টাইল দক্ষিণ গাজার রাফাহ থেকে ক্রসিং এলাকার দিকে নিক্ষেপ করা হয়েছিল। হামাসের হামলার পরপরই এই ক্রসিংটি বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। ফলে এখান দিয়ে ত্রাণসামগ্রী গাজায় পৌঁছাতে পারবে না। তবে অন্যান্য ক্রসিং খোলা আছে।
হামাসের সশস্ত্র শাখা বলেছে, ক্রসিং দিয়ে ইসরায়েলের সেনা ঘাঁটিতে হামলার উদ্দেশ্যে তারা রকেট ছুড়েছে। তবে রকেটগুলো কোন এলাকা থেকে ছুড়েছে, সে সম্পর্কে কোনো তথ্য প্রদান করেনি। হামাসের মিডিয়া শাখার ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র দাবি করেছে, বাণিজ্যিক ক্রসিং তাদের হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল না।
এদিকে রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, হামাসের হামলার পরপরই রোববার দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই হামলায় কমপক্ষে ১৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
ফিলিস্তিনি চিকিৎসকরা জানান, হামাসের হামলার কিছুক্ষণ পরই, রাফাহ শহরের একটি বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় তিনজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। মধ্যরাতের পরপর রাফাহ শহরের আরেকটি বাড়িতে ইসরায়েল বিমান হামলা চালায়। এতে এক শিশুসহ নয়জন নিহত হন। গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারাদের দাবি, রাফাহতে ইসরায়েলের নতুন হামলায় মোট ১৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী পাল্টা হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছে যে, এটি সেই লঞ্চারটিকে আঘাত করেছে যেখান থেকে হামাস ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল; কাছের একটি সামরিক কাঠামোতেও হামলা করা হয়েছে।
গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে মিসরের কায়রোতে চলমান আলোচনায় অগ্রগতি কমে আসার পরপরই পাল্টাপাল্টি এ হামলা চালালো হামাস ও ইসরায়েল।