বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করার আগ্রহ প্রকাশ করছে নেপাল। বিশেষ করে মোংলা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে যাতায়াত ও পণ্য পরিবহনে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে দেশটি।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর কার্যালয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ আগ্রহের কথা জানান নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারি।
সাক্ষাৎ শেষে নৌ প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ভারতের ২৩ কিলোমিটার ভূমি ব্যবহার করে কিভাবে নেপাল বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এ রুটটি সরাসরি ব্যবহারে বাংলাদেশ, ভারত ও নেপাল একসঙ্গে কাজ করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরের সময়ে এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন। এ রুট চালু হলে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে। নেপালের পক্ষ থেকে বন্দর ব্যবহার করে বাণিজ্যিক কার্যক্রম সম্প্রসারণে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ে কথা হচ্ছে। এ বিষয়কে আমরা অনেক বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, নেপালের রাষ্ট্রদূত বাংলাবান্ধা ও বুড়িমারী স্থলবন্দর পরিদর্শন করেছেন। তিনি বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন দেখে খুবই খুশি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন নেপালের রাষ্ট্রদূত। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পরের দিন নেপালের রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রতি তার যে শ্রদ্ধা, সেটি বাংলাদেশ-নেপালের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়েছে।