প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, রমজানে কিন্তু কোনো জিনিসের অভাব হবে না। ইতোমধ্যে সমস্ত কিছু ব্যবস্থা করা আছে। এটা নিয়ে অনেকে কথা বলবে, কিন্তু কোনো অসুবিধা হবে না। রমজান তো কৃচ্ছতা সাধনের জন্য, রমজানে মানুষ একটু কম খায়। আমাদের দেশে রমজানে খাবার-দাবারের চাহিদা একটু বেড়ে যায়।
জার্মানি সফরের বিষয়ে শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান শেখ হাসিনা। ১৬-১৮ ফেব্রুয়ারি জার্মানির মিউনিখ শহরে অনুষ্ঠিত হয় ৬০তম মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্স। সে বিষয়েই আজকের সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, রমজানে ছোলা, খেজুর, চিনি পর্যাপ্ত পরিমাণে আনার ব্যবস্থা আছে, এগুলো নিয়ে সমস্যা হবে না। সেই ব্যবস্থা অনেক আগেই করে রেখেছি।
তিনি আরও বলেন, গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে একটা দেশ উন্নত হয়। গত পনেরো বছরে আত্মসমাজিক উন্নয়ন হয়েছে, মানুষের মন-মানসিকতার পরিবর্তন হয়েছে, সব দিক থেকে বাংলাদেশ অনেক উপর উঠে আসতে সক্ষম হয়েছে। আমরা এখন স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমরা যথাযথভাবে এগিয়ে যেতে পারি সেই কাজটাই আমাদের বড় কথা। এদিকে আমার মনোযোগ দিয়েছি।
শেখ হাসিনা বলেন, রাজনৈতিক দলের অভাব বাংলাদেশে। আওয়ামী লীগ ৪৯ সালে গঠিত হয়েছিল গণমানুষের কথা বলে। সেই সময় থেকে আন্দোলন সংগ্রাম করেই আওয়ামী লীগ এগিয়ে গেছে। আমি যদি আমার প্রতিপক্ষ কয়েকটি দল দেখি, একটা হচ্ছে যুদ্ধাপরাধী দল জামাত। যাদের রাজনীতি নিষিদ্ধ ছিল। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে জিয়াউর রহমান সংবিধান সংশোধন করে তাদেরকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দেয়। পাসপোর্ট নিয়ে যারা পাকিস্তান গেছে তাদেরকে ফিরিয়ে এনে ভোটের অধিকার দিয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে সরকারপ্রধান বলেন, তারা চায় এমন একটা পরিবেশ হোক, তাদেরকে কেউ ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে। সেটা করতে গিয়ে তারা যে প্রথম ধরা খেল, সেটা ২০১৮ নির্বাচন। প্রচার-প্রচারণা সব দিক থেকে আওয়ামী লীগ বিএনপি সমান-সমান ভাব ছিল। ২০০৮ নির্বাচন নিয়ে কেউ প্রশ্ন করতে পারেনি। সেই নির্বাচনের রেজাল্টটা কি? গণতান্ত্রিক ধারাকে আমরা স্থায়ী করেছি, যার সুফল মানুষ পাচ্ছে। তাদের জীবনমান উন্নত হয়েছে। আমরা চাই এ ধারাবাহিকতা যেন বজায় থাকে।
লিখিত বক্তব্যের পর প্রথমে প্রশ্ন করেন সাংবাদিক মনজুরুল ইসলাম বুলবুল। তিনি টানা চতুর্থ ও পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রীকে। পাশাপাশি ১১জন গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে সংসদ সদস্য মনোনয়ন দেওয়ায় ধন্যবাদ জানান। এ সময় হাসতে হাসতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দিছি কেন জানেন না? সাংবাদিকরা যাতে আমাদের সমালোচনা না করতে পারে, সেজন্য।’