বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। চট্টগ্রামের মিরসরাই, কুমিল্লার বুড়িচং, ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার আখাউড়া, হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ এবং মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় বন্যার্তদের উদ্ধার কার্যক্রমে কাজ করবেন সেনা সদস্যরা।
এ ছাড়া ফেনী, চট্টগ্রাম, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জে চিকিৎসা সহায়তার জন্য সেনাবাহিনীর ৫টি মেডিকেল টিম মোতায়েন করা হয়েছে।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) জানায়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৭ পদাতিক ডিভিশন, ২৪ পদাতিক ডিভিশন এবং ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের সেনা সদস্যরা নিজ নিজ দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় পানিবন্দি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
বুধবার (২১ আগস্ট) থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের সেনা সদস্যরা ফেনীর পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলায় বন্যাদুর্গতদের উদ্ধারে মোতায়েন রয়েছেন। সেনাবাহিনী বন্যাকবলিত জেলাগুলোয় এ পর্যন্ত আনুমানিক ছয় হাজার বন্যাদুর্গত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে পাঠিয়েছে। পাশাপাশি তারা বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ ও খাদ্য বিতরণ চলমান রেখেছে।
এ ছাড়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অন্য ফরমেশনগুলো নিজস্ব দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে। তারা বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার জন্যও প্রস্তুত রয়েছে।
সেনাবাহিনী প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত জাতির আস্থার প্রতীক বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে এই মানবিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখার নির্দেশনা দেন।