অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সঙ্গে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর ফের আলোচনার পর ‘রাষ্ট্র সংস্কার’ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য গঠিত কমিটি কাজ শুরু করবে।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর ) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জাতিসংঘ সফর পরবর্তী বিষয়ে জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘ছয়টি কমিশন আগামীকাল (মঙ্গলবার) থেকে কাজ শুরু করার কথা। কিন্তু সিদ্ধান্ত হয়েছে যে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে উপদেষ্টা পরিষদ আলোচনা করতে চাচ্ছে। আলোচনা করে উনারা চূড়ান্ত করবেন। আলোচনাটা খুব কুইক হবে, এটুকু আমি বলতে পারি আলোচনাটা হওয়ার পরেই দেখবেন কমিশনের কাজ শুরু হচ্ছে। ওই আলোচনায় আওয়ামী লীগকে ডাকা হবে কি-না, তা উপদেষ্টা পরিষদ জানাতে পারবে। কারণ তারাই রাজনৈতিক দলগুলোকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম বলেন, ‘গত ২০-৩০ বছরে যদি বাংলাদেশের লিডারদের এই সফর দেখেন তাহলে দেখবেন দুই-তিনজন রিজিওনাল লিডারদের সঙ্গে দেখা করেছেন তারা বা দুই-তিনজন ইউএনের সিনিয়র অফিশিয়ালদের সঙ্গে দেখা করেছেন। অফিস থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর অথবা ইউনূসের প্যাক একটি শিডিউল ছিল। ৫০টির মতো মিটিং ছিল এর মধ্যে ১২টা ছিল বিশ্বের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে।
সবাই তার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছেন। সবাই বলেছেন, এই সরকারকে তারা সাপোর্ট করেন এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে তারা কাজ করতে ইচ্ছুক।’
তিনি আরো বলেন, ‘ছয়জন কমিশনারের নাম যেহেতু ঘোষণা হয়ে গেছে আমি বলতে পারি টেকনিক্যালি কমিশনের কাজ কিছুটা হলেও শুরু হয়েছে। পলিটিক্যাল পার্টিরা তো এখানে একটি স্ট্রেকহোল্ডার। তাদের সঙ্গে একটু আলাপ হবে এবং সেখানে তাদের মতামত চাওয়া হবে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা সঙ্গে বৈঠকে বিশ্বনেতারা নির্বাচনের সময়সীমা সম্পর্কে জানতে চাননি। তারা জানেন যে বাংলাদেশের যে কাজগুলো হবে ইট উইল টেক টাইম। নির্বাচনের সময় নির্ভর করবে কমিশনের রিপোর্ট এবং পলিটিক্যাল কনসালটেশন তারপরে টাইমের বিষয়টা আসে নির্বাচন কবে হবে। ১৬ মাস না ১৮ মাস ১২ মাস না ছয় মাস এটা আসলে ডিসাইড করবে বাংলাদেশের জনগণ।
কমিশনের রিপোর্ট, কমিশনের রিপোর্ট নিয়ে পলিটিক্যাল কনসালটেশন এবং এই কনসালটেশনের পরে বাংলাদেশের জনগণ বাংলাদেশের সোসাইটি, বাংলাদেশের সব স্টিকার যখন ডিসাইড করবে যে না আমরা এই এই বিষয়ে একটি ঐকমত্যে পৌঁছেছি তখন ইলেকশনের একটি ইয়ে হবে। এটা কবে হবে তা এখনই নির্ধারণ করা যাচ্ছে না। আর আমার মনে হয় যে সেনাপ্রধান এখানে ওপিনিয়ন দিয়েছিলেন।’