বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের মেজ ছেলে, তথ্য ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ মাহবুবুর রহমান রুহেল। ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এবং আয়েশা সুলতানা দম্পতির ভুবন আলো করে ১৯৭০ সালের ৮ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন তরুণ প্রজন্মের আইকন রুহেল। চট্টগ্রামের আলো বাতাস গায়ে মেখে দুরন্ত শৈশব কৈশোর কাটিয়েছেন তিনি।
এরপর সেন্টপ্লাসিড থেকে ম্যাট্রিকুলেশন সম্পন্ন করে উচ্চশিক্ষা অর্জনের উদ্দেশে পাড়ি জমান মার্কিন মুল্লুকে। সহপাঠী বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র, জননেত্রী শেখ হাসিনা তনয়, ডিজিটাল বাংলাদেশের রুপকার সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাস, আরলিংটন হতে কম্পিউটার সায়েন্সে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেন রুহেল।
পরবর্তীতে বিভিন্ন স্থানে উচ্চতর প্রশিক্ষণ অর্জন করেন। ফিনল্যান্ডের হেলসিংকি স্কুল অফ ইকোনোমিক্স হতে এমবিএ সম্পন্ন করেন। উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করে আমেরিকার ইউটিলিটিস ইন্ডাস্ট্রিতে কিছুদিন কাজ করেন দেশের শীর্ষ স্থানীয় এই তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ। জননেত্রী শেখ হাসিনার উৎসাহে ১৯৯৭ সালের দিকে দেশে ফিরে দেশ গঠনে নিজের সর্বাত্মক বিনিয়োগ করেন মাহবুব রহমান রুহেল।
দেশে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে মানবসম্পদের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরামর্শে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্থপতি সজীব ওয়াজেদ জয়সহ দুজনে মিলে গড়ে তুলেন আন্তর্জাতিক মানের আইটি প্রতিষ্ঠান ‘বেইজ লিমিটেড’। বেইজ প্রায় ২ হাজারেরও বেশি দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলে, যারা দেশ-বিদেশে কাজ করছেন। তারা বাংলাদেশ আর্মি, ইউএস এইড ও নির্বাচন কমিশনসহ সরকারি-বেসরকারি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানে তথ্যপ্রযুক্তি সহায়তা দিয়েছেন। বিচারবিভাগ ও আল কোরআন ডিজিটালাইজেশনে ‘বেইজ লিমিটেড’ ভূমিকা রেখেছে।
২০০১ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অফিসিয়াল সাইট (www.albd.org) এর ডোমেইন নেন মাহবুব রহমান রুহেল। রুহেল নিভৃতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন বাস্তবায়নে একাগ্রচিত্তে কাজ করে যাচ্ছেন।
২০০৫/০৬ সালের দিকে বিএনপি-জামায়াতের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে দেশে বিদেশে জনমত তৈরিতে কী ভূমিকা রেখেছিলেন তা তৎকালীন সচেতন মহল ওয়াকিবহাল আছেন। ১ কোটি ২০ লাখ ভুয়া ভোটার ছিল বিএনপির জাল ভোট ব্যাংক। সে পরিস্থিতি উত্তরণে একটা রুপরেখা দেখিয়েছিলেন আইটি বিশেষজ্ঞ মাহবুব রহমান রুহেল। যার ফলশ্রুতিতে যুক্ত হয় ছবিযুক্ত সংশোধিত ভোটার তালিকা, বাদ পড়ে ১ কোটি ২০ লাখ ভুয়া ভোটার। সেই সংশোধিত ভোটার তালিকায় অনুষ্ঠিত হয় ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচন।
২০০৮ সালে সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ রুপকল্পের নেপথ্য থেকে কাজ করেছেন রুহেল। ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করলেও দূরদর্শী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০০ সালের দিকে অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীর নেতৃত্বে গঠিত আইসিটি টাস্কফোর্স-এর সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করেন প্রধানমন্ত্রীর স্নেহভাজন রুহেল।
২০০৪ সালে দেশে যখন অশ্লীলতার দাপটে একের পর এক সিনেমা হল বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল তখন স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে গড়ে তুলেন দেশের ১ম আন্তর্জাতিক মানের মাল্টিপ্লেক্স ‘স্টার সিনেপ্লেক্স’। যা সিনেমা ইন্ড্রাস্ট্রিতে আশার আলো জাগিয়ে তুলে। তরুণদের অন্যতম সুস্থ বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত হয়।
ছবিয়াল প্রোডাকশনের সাথে প্রযোজিত ‘টেলিভিশন’ সিনেমা অনেক আন্তর্জাতিক পুরষ্কার অর্জন করে। এছাড়া স্টার সিনেপেপ্লক্স প্রযোজিত প্রথম ছবি ‘ন ডরাই’ দেশে-বিদেশে ব্যাপক প্রশংসিত হয়। ২০১৯ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-এ সেরা চলচ্চিত্রসহ ৬টি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার জয় করেছে ‘ন ডরাই’।
২০০৫ সালের দিকে কো ফাউন্ডার হিসেবে গড়ে তোলেন চট্টগ্রামের ১ম চার তারকা হোটেল ‘দ্য পেনিনসুলা চিটাগাং’, যা চট্টগ্রামকে বিদেশি ব্যবসায়ীদের কাছে নতুন পরিচয়ে তুলে ধরে।
২০০৮ সালে জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় অংশ নিয়ে বিপুল সাড়া জাগান মাহবুব রহমান রুহেল। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের ‘প্রধান নির্বাচনি এজেন্ট’ হিসেবে মিরসরাইতে ভোটারদের মাঝে রীতিমত গণজাগরণ তৈরি করেছেন তরুণদের নিয়ে।
২০১২ সালে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন মাহবুব রহমান রুহেল। উন্নয়ন ভাবনা, উদ্ভাবনী কার্যক্রম ও বুদ্ধিবৃত্তিক রাজনৈতিক চিন্তাধারার কারণে মিরসরাইতে দলমত নির্বিশেষে সকলের আস্থা অর্জন করে নিয়েছেন তিনি। বর্তমানে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হিসেবে কাজ করছেন মাহবুব রহমান রুহেল।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন বাস্তবায়নে অগ্রণী সৈনিকের ভূমিকা পালন করছেন রুহেল। ২০১০ সালের দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিরসরাই মহামায়া প্রকল্প উদ্বোধন করতে আসলে রুহেল মিরসরাই ইকোনমিক জোনের একটি স্পষ্ট ম্যাপ বাবা ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার কাছে তুলে ধরেন। ওই দিন ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের দাবিতে ‘মিরসরাইতে ইকোনমিক জোন’ নির্মাণের ঘোষণা দেন জননেত্রী শেখ হাসিনা।
নিভৃতচারী মাহবুব রহমান রুহেল ১৯৯৯ সাল থেকে আওয়ামী লীগের জন্য নিরলস কাজ করছেন। মিরসরাইয়ের গণমানুষের পাশে থেকে হৃদয় জয় করে নিয়েছেন তিনি। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে সজীব ওয়াজেদ জয় ও রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববির সাথে একসঙ্গে কাজ করছেন রুহেল।
কিছুদিন আগে জাতিসংঘের মহাসচিব এবং বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট রোহিঙ্গাদের দুর্দশা চিত্র পরিদর্শনে আসলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূয়সী প্রসংশার পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের জোরালো আবেদন জানান রুহেল।
বৈশ্বিক করোনা সংক্রমণের শুরুতে সচেতনতা তৈরিতে ক্যাম্পেইন করেন মাহবুব রহমান রুহেল। এরপর মিরসরাই ও কক্সবাজারে সংক্রমণ রোধে ঘরে থাকা ১২ হাজার মানুষের মাঝে খাবার পৌঁছে দিয়েছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী যখন কৃষি জমি রক্ষার বক্তব্য দিলেন তখন পোড়া ইটের বিকল্প হিসেবে চালু করলেন পরিবেশ বান্ধব ইকোব্লক উৎপাদনের। এছাড়া প্রত্যেকটা সভা, সেমিনারে ও রাজনৈতিক আলাপচারিতায় ভবিষ্যতের খাদ্যের নিশ্চয়তা প্রদানে রুহেল কৃষি জমি সুরক্ষার ওপর সবসময় তাগিদ দিয়ে থাকেন।
২০১৯ সালে গ্রীন মিরসরাই গড়ার লক্ষ্যে মিরসরাইতে ১ লাখ গাছের চারা রোপণ করেন পরিবেশ বন্ধু মাহবুব রহমান রুহেল। প্রতিনিয়ত পরিবেশের প্রতি দায়িত্ববোধ জাগ্রত করছেন তরুণদের মাঝে।
এছাড়াও মাদকের বিস্তার রোধে সর্বস্তরে সচেতনতা তৈরি করছেন মাহবুব রহমান রুহেল। মাদকের ব্যাপারে তার জিরো টলারেন্স নীতির কারণে সীমান্তবর্তী উপজেলা হওয়া সত্ত্বেও মাদক বিস্তার লাভ করতে পারেনি মিরসরাইতে।
প্রাচ্যের সংস্কৃতি এবং পাশ্চাত্যের বহুজাতিক অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ মাহবুব রহমান রুহেল মিরসরাইবাসীকে অন্তঃকরণে ভালোবাসেন। নিয়মিত তাদের কাছে ছুটে যান ভালোবাসার ফেরি নিয়ে। এমন একজন ব্যক্তিত্বকে নেতা হিসেবে পাওয়া মিরসরাইবাসী তথা চট্টগ্রামবাসীকে ভবিষ্যতে নেতৃত্ব সংকটের আশঙ্কা হতে স্বস্তি দেয়।