বিএনপি নির্বাচন চায় না মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ইনশাল্লাহ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। জনগণ সঠিকভাবে ভোট দেবে।
শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কের একটি হোটেলে নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত সর্বজনীন নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, এরা তো (বিএনপি) ইলেকশন চায় না। আসলে বিএনপি কি ইলেকশন চায়? ইলেকশনটা চাইবে কীভাবে? তাদের নেতা কে? পলাতক আসামি, অর্থ চোর, অস্ত্র চোরাকারবারি, খুনি, একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলাকারী; এই যদি একটা দলের নেতা হয় তবে সেই দল এবং তাকে মানুষ কেন ভোট দেবে?
তিনি বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে ভোট পায় নাই, ২০১৪ সালে নির্বাচন করেনি। নির্বাচন ঠেকানোর নামে অগ্নিসন্ত্রাস করে মানুষ হত্যা করেছে। কত মানুষের জীবন নিয়েছে। এখনো যদি সেই পোড়া মানুষগুলোর চেহারা দেখেন, কী বীভৎস চেহারা; ওটা দেখলে মনে হয়, যারা এই কাজগুলো করেছে তাদের মতো জঘন্য মানুষ আর হতে পারে না।
আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ইনশাল্লাহ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। জনগণ সঠিকভাবে ভোট দেবে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাধাদানকারীদের ওপর আজ থেকে মার্কিন ভিসা নীতি কার্যকর
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ অন্তত এইটুকু উপলব্ধি করে, এই নৌকায় ভোট দিয়ে দেশের মানুষ স্বাধীনতা পেয়েছে, এই নৌকায় ভোট দেওয়ার ফলেই আজকে মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে। নৌকায় ভোট দিয়েছে বলেই সারা বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা বিদেশে থাকেন তারা নিশ্চয়ই সেটা বোঝেন যে, বিএনপি-জামায়াতের সময় বিদেশে কারো সাথে কথা বলা যেত না, আর এখন বাংলাদেশ শুনলে মানুষ সম্মানের চোখে দেখে।
অপপ্রচারে কান না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আপনার সব সময় এটা খেয়াল রাখবেন দেশের ভাবমূর্তিটা যেন সব সময় উজ্জ্বল থাকে। আজকে বিশ্ব নেতারা যেখানে স্বীকৃতি দেয় আর কয়েকটা চোরচোট্টা কি বললো, ওইগুলি আমাদের কানে দেওয়ার দরকার নেই।
তিনি বলেন, যেগুলো আসামি, যেগুলো বিভিন্ন অপরাধ করে হয়তো বিভিন্নভাবে চাকরি হারিয়েছে। তারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এসে আশ্রয় নিয়ে নিজেদের অপকর্মের কথা ঢেকে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া এবং অ্যাপসের মাধ্যমে নানা রকম মিথ্যা অপবাদ ছড়াচ্ছে।