দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ৩০০ আসনের খসড়া মনোনয়ন তৈরি করেছে আওয়ামী লীগ। যেটি এখন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার টেবিলে রয়েছে। বিএনপি নির্বাচনে আসবে মাথায় রেখেই এই খসড়া তালিকা তৈরি করা হয়েছে বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র আজকের বেলাকে নিশ্চিত করেছে।
সূত্র জানায়, ৫০টি আসন মহাজোটের শরিকদের দিয়ে বাকি ২৫০টি আসন আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের জন্য রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে শরিকদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আরও অন্তত ১০ থেকে ২০টি আসন শরিকদের জন্য আওয়ামী লীগ ছেড়ে দিতে পারে।
আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সূত্র বলছে, খসড়া তালিকায় ১৩৭ জন বর্তমান এমপিকে আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হবে না বলেই প্রস্তাব করা হয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকজন বয়স্কজনিত, বার্ধক্যজনিত বা অসুস্থতার কারণে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন না। তবে বেশিরভাগই অজনপ্রিয়, নির্বাচনি এলাকায় বিতর্কিত এবং এলাকায় ইতিবাচক অবদান রাখতে পারেননি বলে তাদেরকে বাদ দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে ঢাকাসহ মহানগর অঞ্চলগুলোতে প্রার্থীদের অদলবদল বেশি ঘটেছে। মফস্বল এলাকায় প্রার্থীর অদলবদল অনেকটাই কম বলেই জানা গেছে। ঢাকা মহানগরীর মাত্র ৩টি আসনে আগের প্রার্থীদেরকেই বহাল রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। বাকি সবগুলোতেই প্রার্থী পরিবর্তনের জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
খসড়া মনোনয়নে বিভিন্ন স্থানে যারা জনপ্রিয় তাদেরকেই বেছে নেওয়া হয়েছে। অন্তত ১৭ জন্য আছেন নতুন, যদি শেষ পর্যন্ত এই মনোনয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি চূড়ান্ত করেন তাহলে প্রথমবারের মতো তাঁরা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন।
এছাড়াও গত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন কিন্তু এবার মনোনয়ন পাননি এমন সংখ্যা ২৫ জনেরও বেশি। তবে সার্বিকভাবে মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে জনপ্রিয়তাকে বিবেচনা নেওয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবং প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে মোট ৬টি জরিপের ভিত্তিতে এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে। সবগুলো জরিপে যাদের নাম প্রথম এসেছে তাদের সংখ্যা ৯৩ জন। আর বাকিদের মধ্যে থেকে বিভিন্ন জরিপের সামষ্টিক তথ্য উপাত্ত এক করে সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যক্তি নির্ধারণ করা হয়েছে। আর এই নির্ধারণের বিষয় থেকেই তালিকাটি প্রধানমন্ত্রীর কাছে দেওয়া হয়েছে।
শেষ পর্যন্ত যদি বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে তাহলে তালিকায় বড় ধরনের পরিবর্তন হবে। আবার যদি বিএনপি অংশগ্রহণ করে তাহলে শেখ হাসিনা এই তালিকার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন বলে জানা গেছে।