অসহযোগ আন্দোলনের মাধ্যমেই সরকারকে সরানো হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর প্রেসক্লাব এলাকায় অসহযোগ আন্দোলনের পক্ষে লিফলেট বিতরণের সময় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে বার্তা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ক্ষমতাসীনদের বিদায় না দেয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকবে বিএনপি।
অসহযোগ আন্দোলন ঘোষণা বিএনপির
বুধবার দুপুরে অনলাইন ব্রিফিংয়ে আসহযোগ আন্দোলনের ঘোষণা দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। অন্যদিকে একই দিন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে একই কর্মসূচির ঘোষণা দেয় গণতন্ত্র মঞ্চ। বাধা দিয়ে গ্রেপ্তার করে আন্দোলন থামানো যাবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। সেই সঙ্গে ভোট বর্জনের অসহযোগ আন্দোলন সফল করতে জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপির শরিকরা।
আন্দোলনকারীদের ভাষায় দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা, দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ কারাবন্দী নেতাকর্মীদের মুক্তি, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনা ও সরকার পতনের দাবি। দীর্ঘদিন ধরেই সভা-সমাবেশ, হরতাল-অবরোধসহ নানা কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি ও তার শরিকরা।
১১ দফায় অবরোধ এবং ৪ দফায় পাঁচদিন হরতালও পালন করেছে দলটি। নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে এবার অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বিএনপি ও তার সমমনারা।
রিজভী ব্রিফিংয়ে জনসাধারণ এবং বিএনপি ও সমমনা দলের জন্য নতুন কর্মসূচিতে বলা হয়, প্রথমত ৭ জানুয়ারির ‘ডামি নির্বাচন’ বর্জন করুন। ‘নির্বাচনের নামে’ বানর খেলার আসরে অংশ নেবেন না। আপনারা কেউ কেন্দ্রে যাবেন না। এটি আপনার গণতান্ত্রিক অধিকার। দ্বিতীয়ত নির্বাচন কমিশন ৭ জানুয়ারি কাকে এমপি ঘোষণা করবে, গণভবনে সেই তালিকা তৈরি হয়ে গেছে। সুতারং ‘ডামি নির্বাচনে’ ভোটগ্রহণে নিযুক্ত কর্মকর্তা কর্মচারীরা দায়িত্ব পালনে বিরত থাকুন।
তৃতীয়ত বর্তমান অবৈধ সরকারকে সব ধরনের ট্যাক্স, খাজনা, ইউটিলিটি বিল ও অন্য বিল দেয়া থেকে স্থগিত রাখুন। চতুর্থত ব্যাংকগুলো অবৈধ সরকারের লুটপাটের অন্যতম মাধ্যম। তাই ব্যাংকে টাকা জমা রাখা নিরাপদ কি না ভাবুন। পঞ্চমত মিথ্যা ও গায়েবি মামলায় অভিযুক্ত লাখ লাখ রাজনৈতিক নেতাকর্মী আদালতে মামলায় হাজিরা দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। আপনাদের প্রতি সুবিচারে আদালতের স্বাধীনতা ফ্যাসিবাদী সরকার কেড়ে নিয়েছে।