তথ্য উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলামকে তার বক্তব্য প্রত্যাহারের অনুরোধ জানানোর পাশাপাশি রাজনৈতিক দল ও রাজনীতিকে প্রতিপক্ষ না বানানোর আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনিস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। ১৪ ডিসেম্বর শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভা আয়োজন করে বিএনপি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘গতকাল বা তার আগের দিন একজন উপদেষ্টা মন্তব্য করেছেন যে, রাজনৈতিক দলগুলো এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ করার জন্য কাজ করছে। এটা একটা… আমি মনে করি এই উক্তিটা উনি কী জন্য করেছেন, কীভাবে করেছেন, কোন প্রেক্ষিতে করেছেন, তা আমি জানি না। এটার গভীরতা, ব্যপ্তি উনি বুঝেছেন কিনা তাও আমি জানি না। কিন্তু এটা মারাত্মক একটা উক্তি।’
তিনি বলেন, ‘এই সরকারকে আমরা সমস্ত মানুষ— যারা আমরা ফ্যাসিস্ট সরকারকে তাড়াবার জন্য আন্দোলন করেছি, ছাত্ররা রক্ত দিয়েছে, আমরা রক্ত দিয়েছি, তারা সবাই মিলে এই সরকারকে দায়িত্ব দিয়েছি। এই সরকারকে আমরা দায়িত্ব দিয়েছি এই জন্যই যে, তারা আমাদের জন্য একটা পরিবেশ তৈরি করবেন, এই রাষ্ট্রকে মোটামুটিভাবে নির্বাচনমুখী করে নির্বাচনের দিকে নিয়ে গিয়ে নতুন একটা রাষ্ট্র করবার সুযোগ করে দেবেন। এই জন্য সবাই আমরা সাহায্য করছি। বিশেষ করে বিএনপির তরফ থেকে প্রথম দিনই সমর্থন দিয়েছি, এখনও দিচ্ছি এমনকি এই মুহূর্তেও সমর্থন করছি।’
‘কেননা আমরা চাই যে, তারা কাজগুলো শেষ করে জনগণকে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করার সুযোগ করে দিয়ে তাদের পার্লামেন্ট, তাদের সরকার গঠন করার সুযোগ করে দেবে। কিন্তু উনি যখন এই কথা বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ করার জন্য কাজ করছে’— এটা তো মারাত্মক একটা অভিযোগ। আমি তীব্রভাবে এর প্রতিবাদ করছি এবং আমি মনে করি এই ধরনের উক্তি তার প্রত্যাহার করা উচিত’— বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করিয়ে দিতে চাই, দয়া করে রাজনৈতিক দলগুলোকে বা রাজনীতিকে আপনাদের প্রতিপক্ষ বানাবেন না। রাজনৈতিক দলগুলো আপনাদেরকে সহযোগিতা করছে। কারণ, এটা রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব। সেখানে আপনি যদি বলেন, আমরা এটাকে ব্যর্থ করার জন্য চেষ্টা করছি… আমরা হাজারবার বলেছি, আমাদের চেয়ারম্যান বলেছেন, আমরা এখনও বলছি, এই সরকার ব্যর্থ হলে জনগণ ব্যর্থ হয়ে যাবে। তাহলে এই কথা আপনারা কেন বলেন?’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা মনে হয় উনি হয়তো বা এর গুরুত্ব বুঝতে পারেননি অথবা এর প্রেক্ষিতটা বুঝতে পারেননি। কেন বলেছেন আমি জানি না। যদি না বুঝতে পেরে বলে থাকেন, তাহলে আমি কিছু বলতে চাই না। যদি জেনে-শুনে বলে থাকেন, তাহলে আমি অবশ্যই এর প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি এবং বক্তব্য প্রত্যাহার করার জন্য অনুরোধ করছি।’