আজ শুরু হলো বর্ষা। আর একদিন পরেই ঈদুল আজহা। আজ যেমন কালো হয়ে আছে আকাশ, কোথাও কোথাও ভারী বর্ষণ, তাই চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে কেমন যাবে ঈদের দিনটা। ঈদের জামাত মাঠে হবে না মসজিদে, কোরবানি কোথায় করা সম্ভব হবে— এর সব কিছুই নির্ভর করবে আকাশের অবস্থার ওপর। আবহাওয়া বিভাগ আজই ঈদের দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস জানিয়ে দিয়েছে।
শনিবার (১৫ জুন) সকালে আবহাওয়া অধিদফতরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সোমবার (১৭ জুন) ঈদুর আজহার দিন সকাল থেকে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
সেই সঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। এ সময় চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়া সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজ করতে পারে। ঈদের আগে আজ ও আগামীকালও থাকবে বৃষ্টি।
আবহাওয়া বিভাগ জানায়, আজ শনিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায়, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; ঢাকা, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ ওসিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
এ সময় খুলনা বিভাগসহ গোপালগঞ্জ জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়া সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজ করতে পারে।
ঈদের আগের দিন রোববার (১৬ জুন) সকাল ৯টা থেকে পরের ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়; চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
এই সময়ে চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজ করতে পারে। পুরো সপ্তাহজুড়েই বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে।