পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনের নিরাপত্তা জোরদারে নির্দেশ

অবরোধ ও হরতালের নামে গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ককটেল বিস্ফোরণ, পেট্রোল বোমা নিক্ষেপের মাধ্যমে মানুষের ক্ষতি করা হচ্ছে। এ অবস্থায় নাশকতার সহজ লক্ষ্যবস্তু হিসেবে কেউ যেন পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনে আগুন দিতে না পারে সে জন্য সতর্ক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

পাশাপাশি পাম্প থেকে তেল নিয়ে তা যেন অবরোধকারীরা নাশকতায় ব্যবহার না করতে পারে সে বিষয়েও সতর্ক করা হয়েছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়— ‘পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশন ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগসহ সব ধরনের নাশকতা রোধকল্পে পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ও নজরদারি বৃদ্ধি করা হবে। সহকারী পুলিশ কমিশনার এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা নিজ নিজ অধিক্ষেত্রে অবস্থিত পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশন সরেজমিনে পরিদর্শন করে নিরাপত্তা তদারকি করবেন।’

পাম্প মালিকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়— নিজ নিজ পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনে নিজস্ব জনবলের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক (২৪/৭) নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। প্রত্যেক পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশন ছবি ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ও ডিভিআরসহ সিসি ক্যামেরার আওতায় আনতে হবে। পাম্পে সংশ্লিষ্ট থানার ডিউটি অফিসার, ইন্সপেক্টর (তদন্ত/ অপারেশনস্), অফিসার ইনচার্জ, ফায়ার সার্ভিস ও জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ ফোন নম্বর দৃশ্যমান স্থানে ঝুলিয়ে রাখতে হবে।

এছাড়া পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম রাখা এবং মহড়া করে উক্ত সরঞ্জামাদির কার্যকারিতা যাচাই করারও নির্দেশনা দেওয়া হয় পাম্প ও সিএনজি স্টেশন মালিকদের।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়, রিজার্ভারে তেল লোডের সময় নিজস্ব জনবল দিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ওই সময়ে সব ধরনের যানবাহন পেট্রোল পাম্পে প্রবেশ বন্ধ রাখতে হবে।

পাম্পে খোলা জ্বালানি তেল বিক্রি বন্ধ রাখতে হবে। তবে বাড়ি/ফ্যাক্টরি/প্রতিষ্ঠানের জেনারেটর চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানি তেল সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার থেকে ছাড়পত্র সাপেক্ষে সংগ্রহ করা যাবে। পেট্রোলিয়াম বিধিমালা ২০১৮ এর লাইসেন্সের শর্তাবলী যথাযথভাবে প্রতিপালন করার পাশাপাশি যে কোনো প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট থানাকে অবহিত করার জন্যও নির্দেশনায় বলা হয়।

এসআই/আজকের বেলা
অবরোধআজকের বেলাডিএমপিনিরাপত্তাহরতাল
Comments (০)
Add Comment