বিস্ফোরণে দগ্ধ শেষ রোহিঙ্গা শিশুটিও মারা গেল চমেকে

নোয়াখালীর ভাসানচরের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ রুশমিনা নামে ৩ বছর বয়সী আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১০টার দিকে চমেক পুলিশ ফাঁড়ি থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

এর আগে গতকাল রাত সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি মারা যায়। এ নিয়ে বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত পাঁচ শিশুর মধ্যে কেউ বেঁচে রইল না।

চমেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুল আলম আশেক বলেন, গতকাল রাতে সবশেষ মারা যাওয়ার রোহিঙ্গা শিশু রুশমিনার শ্বাসনালি ও শরীরের ৫০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। দুর্ঘটনায় আহত মোট ৭ জনকে চমেক হাসপাতালে আনা হয়েছিল। এর মধ্যে ৫ জন শিশু ছিল। তাদের সবাই মারা গেছে।

আরও পড়ুন: ভাসানচরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় মামলা

জানা গেছে, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সকালে হাতিয়া উপজেলার ভাসানচরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৮১ নম্বর ক্লাস্টারে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ৫ শিশুসহ ৯ জন দগ্ধ হয়। আহতদের প্রথমে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওইদিনই ৭ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে পাঠান।

হাসপাতালে আনার পথে রাসেল নামে আড়াই বছর বয়সী এক রোহিঙ্গা শিশুর মৃত্যু হয়। এরপর ২৬ ফেব্রুয়ারি চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মোবাশ্বেরা (৪) ও রবি আলম (৫) এবং ২৮ ফেব্রুয়ারি সকালে সোহেল নামে সাড়ে ৫ বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছিল।

এসআই/আজকের বেলা
আজকের বেলাচমেকভাসানচরমৃত্যুরোহিঙ্গা
Comments (০)
Add Comment