বিদ্যুতের দাম খুচরা পর্যায়ে ৮ দশমিক ৫০ শতাংশ ও পাইকারি পর্যায়ে ৫ দশমিক ০৭৪ শতাংশ বাড়ছে। নতুন দাম ফেব্রুয়ারি থেকেই কার্যকর হবে।
দাম বাড়িয়ে বৃহস্পতিবারই (২৯ ফেব্রুয়ারি) গেজেট জারি হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
তিনি বলেন, ডায়নামিক প্রাইসে তেলের দাম নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। পহেলা মার্চ থেকে সেটি কার্যকর করা শুরু হবে। আর বিদ্যুতের দাম যেটা বেড়েছে, সেটা পহেলা ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা জ্বালানির দাম সমন্বয় করেছি বিদ্যুতে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো যে দামে গ্যাস নিতো, সেখানে আমরা ৭০ পয়সার মতো সমন্বয় করেছি। আর তেলের দামও ডায়নামিক প্রাইসে নির্ধারণ করা হয়েছে।
নসরুল হামিদ বলেন, কয়লা, তেল ও গ্যাসসহ জ্বালানি আমরা যে দামে কিনতাম, সেখানে একটা ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। গত বছরে মারাত্মকভাবে এ পরিবর্তন এসেছে। যে কারণে ডলারের সঙ্গে জ্বালানির দাম সমন্বয় করার চিন্তাভাবনা করছিলাম। জ্বালানির ব্যাপারে একটা ডায়নামিক প্রাইসের দিকে যাচ্ছি। যেটা পহেলা মার্চ থেকে শুরু হবে। কাল-পরশুর মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
‘ডায়নামিক প্রাইস বলতে, বিশ্বে যদি জ্বালানির দাম বাড়ে, তাহলে আমাদের দেশেও সেটার সঙ্গে সমন্বয় করে বাড়বে, বিশ্বে যদি কমে, আমাদের দেশেও কমবে। আর এটা প্রতিমাসের প্রথম সপ্তাহে করা হবে। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ প্রতিদিন এটা করে। যেমন, কলকাতার কথা যদি বলি, সেখানে এক লিটার ডিজেলের দাম ১৩৩ টাকা। আমাদের দেশে ডিজেলের দাম ১০৯ টাকা।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এভাবে গ্যাসের দামও ডলারের সঙ্গে সমন্বয় করতে হচ্ছে আমাদের। গ্যাস আমদানি সহনীয় পর্যায়ে। আমরা যদি গ্যাসের সঙ্গে যদি মিক্সড করি, তাহলে ২৪ টাকার ওপরে পড়ে যায়। এ গ্যাস সারকে দিচ্ছি ১৬ টাকা রেটে, বিদ্যুতকে দিচ্ছি ১৪ টাকা রেটে। যে কারণে গ্যাসের দাম ১৪ টাকা ৭০ পয়সা করা হয়েছে।