বৃহত্তর চট্টগ্রামে ফের অতিভারী বৃষ্টির আভাস

আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে বঙ্গোপসাগরে আরও একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে যাচ্ছে। যা দেশের চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে অতিক্রম করার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে আগামী সপ্তাহে বৃহত্তর চট্টগ্রামে টানা ৩ দিন ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্বের প্রধান আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেলগুলো।

পূর্বাভাস মডেলগুলোর তথ্য বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানিয়েছেন কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) তিনি নিজ ওয়েবসাইট আবহাওয়া ডটকমে উল্লেখ করেছেন, ১২ সেপ্টেম্বর দুপুরের পর থেকে রাত ১২টার মধ্যে গভীর নিম্নচাপটির অবস্থান হবে চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী উপকূলের উপরে। ১৩ সেপ্টেম্বর গভীর নিম্নচাপটি দুর্বল হয়ে নিম্নচাপ কিংবা লঘুচাপ আকারে বরিশাল ও খুলনা বিভাগের ওপর অবস্থান করতে পারে। ১৪ সেপ্টেম্বর এটি লঘুচাপ আকারে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খন্ডে অবস্থান করতে পারে।

এর ফলে চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোতে ১২ সেপ্টেম্বর দুপুর থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার মধ্যে ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা করা যাচ্ছে। এরমধ্যে নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। এসময় চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলায় খুবই ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। একই সঙ্গে ফেনী, উত্তর চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে পাহাড়ি ঢল এবং বৃহত্তর চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকায় ভুমিধসের শঙ্কা রয়েছে।

ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল অনুসারে, ১২ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার পর থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর রাত ১২টার মধ্যে নিম্নচাপের ফলে চট্টগ্রাম বিভাগে ২০০ থেকে ৪০০ মিলিমিটার, সিলেট বিভাগে ২০০ থেকে ৩০০ মিলিমিটার, বরিশাল বিভাগে ১৫০ থেকে ২৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

একই সময়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের দক্ষিণ ও পূর্ব দিকের জেলাগুলোতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) আবহাওয়া অফিসের ভারী বর্ষণের সতর্কবাণীতেও একই তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়া অফিস বলেছে, বাংলাদেশের ওপর মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশাল বিভাগের কোথাও কোথাও আগামীকাল, ১১ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে।

উল্লেখ্য, গত আগষ্ট মাসে অতিভারী বৃষ্টি ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পানিতে ফেনীসহ চট্টগ্রাম বিভাগের ৮ জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়। এতে প্রায় দুই সপ্তাহ পানিবন্দি ছিলেন লাখ লাখ মানুষ। বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে জনজীবন।

এসআই/আজকের বেলা
আজকের বেলাচট্টগ্রামবৃষ্টি
Comments (০)
Add Comment