ধর্মশালায় হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট সংস্থা স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি বাংলাদেশ ও ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। আফগানিস্তানকে অল্পতে আটকানো বাংলাদেশী বোলারদের এই ম্যাচে রীতিমতো কচুকাটা করে মালানের শতকে ভর করে বাংলাদেশকে ৩৬৫ রানের বিশাল লক্ষ্য দিয়েছে ইংল্যান্ড।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিং-এ নেমে শুরুতেই ২ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১৬ রান।
এর আগে মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) হিমাচল ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৬৪ রান তুলেছে ইংল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৪০ রান করেছেন মালান। বাংলাদেশের হয়ে ৪টি উইকেট শিকার করেছেন মেহেদী।
হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালায় হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট সংস্থা স্টেডিয়ামে ভারত বিশ্বকাপের সপ্তম ম্যাচে মাঠে নামে বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড। টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তবে অধিনায়কের বোলিং নেওয়ার সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করতে পারনেনি টাইগার বোলাররা। ওপেনিং থেকেই আগ্রাসী ভঙ্গিতে খেলতে থাকেন ইংলিশ দুই ওপেনার জনি বেয়ারস্টো ও ডেভিড মালান। তাদের মধ্যকার ১১৫ রানের জুটি ইংল্যান্ডকে বড় সংগ্রহের দিকে নিয়ে যায়। বেয়ারস্টোকে ৫২ রানে আউট করে জুটি ভাঙেন সাকিব আল হাসান।
বেয়ারস্টোর পর মাঠে নামেন জো রুট একই সাথে বাড়ে দ্বিতীয় উইকেটের জন্য বাংলাদেশের অপেক্ষা। রুটকে নিয়ে টাইগার বোলারদের উপর চড়াও হন ইংরেজ ওপেনার মালান। প্রথম ফিফটিতে ৩৯ বল খরচ করেছিলেন মালান। এরপর রানের গতি কিছুটা কমিয়েছেন। তাতে পরের ৫০ রান তুলেছেন ৫২ বলে। সবমিলিয়ে ৯১ বলে তিন অঙ স্পর্শ করেন এই ওপেনার। অবশেষে মালানকে থামান মেহেদী। এই স্পিনারের টসড আপ ডেলিভারিতে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হয়েছেন তিনি। ১০৭ বলে করেছেন ১৪০ রান। ১৬টি চারের সঙ্গে মেরেছেন ৫টি ছক্কা। সেঞ্চুরির পর ১৬ বলে তিনি করেছেন ৪০ রান। রুটের সঙ্গে তার দ্বিতীয় উইকেট জুটি থেমেছে ১৫১ রানে।
উইকেটে এসেই আক্রমণাত্মক শুরু করেছিলেন জস বাটলার। তবে বিধ্বংসী হয়ে ওঠার আগেই এই উইকেটকিপার ব্যাটারকে ফেরালেন শরিফুল ইসলাম। বাঁহাতি এই পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের বল স্টাম্পে টেনে এনে বোল্ড হয়েছেন বাটলার। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ১০ বলে ২০ রান।
এরপর এক ওভারেই শরীফুলের জোড়া উইকেট। শিকার জো রুট ও লিয়াম লিভিংস্টোন। স্টাম্প লাইন থেকে আড়াআড়ি তুলে মারতে গিয়ে খাড়া ওপরে তোলেন রুট। সময় পেয়ে কাজে লাগিয়েছেন মুশফিকুর রহিম, ভুল করেননি কোনো। রুট আউট ৮২ রানে। সর্বশেষ ১৫ বলে ছিল না বাউন্ডারি। সে চাপেই এল রুটের উইকেট এবং ঠিক পরের বলেই বোল্ড লিয়াম লিভিংস্টোনও! এবার সিমের ওপর আঙুল ঘুরিয়ে করেছিলেন। ডিফেন্ড করতে গিয়ে পুরো মিস করে গেছেন লিভিংস্টোন। গোল্ডেন ডাক তাঁর। হুট করেই ইংল্যান্ডের লাগাম টেনে ধরার ইঙ্গিত বাংলাদেশের। ২৯৬ রানে ২ উইকেট থেকে ৩০৫ রানে ৫ উইকেট।
এরপর ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই হ্যারি ব্রুককে ফেরান মাহেদী। তারপর মাহেদীর শিকার হন স্যাম কুরান ও আদিল রশিদ। পরে শেষ ওভারে ক্রিস ওকসকে আউট করেন তাসকিন। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৬৪ রান তুলে ইংল্যান্ড। মাহেদীর চার উইকেট ছাড়াও শরীফুলের ৩টি আর সাকিব ও তাসকিন নেন একটি করে উইকেট।