রাঙ্গুনিয়ায় বালু ব্যবসায়ী ও যুবলীগ নেতা মঞ্জুরুল ইসলাম হত্যা মামলার প্রধান আসামি খান মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন প্রকাশ মঈনুকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৭। মঞ্জুরুল ইসলাম স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক ছিলেন।
সোমবার (৯ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৭টায় কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের একটি আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার খান মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন প্রকাশ মঈনু একই থানার মুরাদনগর এলাকার মৃত নুর মোহাম্মদ খানের ছেলে।
জানা যায়, বালুমহাল নিয়ে যুবলীগ নেতা মঞ্জুরুল ইসলামের সঙ্গে আসামিদের দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল। এর প্রেক্ষিতে আসামিরা একাধিকবার মঞ্জুরুল ইসলামকে মারধরসহ প্রাণনাশের হুমকি দেয়। পরে ৮ অক্টোবর বিকেলে আসামিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে মঞ্জুরুল ইসলামের শান্তি নিকেতন বালুমহালে আসেন।
অস্ত্রসজ্জিত আসামিদের দেখে মঞ্জুরুল ইসলাম দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে আসামিরা তাকে ধাওয়া করে বালুর মাঠে কোপাতে থাকেন। পরে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে মঞ্জুরুল ইসলামের পায়ের ওপরের অংশে ও নিম্নাংশে একাধিক গুলি করে গুরুতর জখম করা হয়। এ সময় তার সঙ্গে থাকা মো. সেকান্দরকেও মারধর করে জখম করে আসামিরা।
তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন রক্তাক্ত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মঞ্জুুরুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে রাঙ্গুনিয়া থানায় চার জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) মো. নূরুল আবছার বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্যপ্রযুুক্তির সহায়তায় সোমবার সকাল সাড়ে ৭টায় মঞ্জুরুল ইসলাম হত্যা মামলার প্রধান আসামি খান মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন প্রকাশ মঈনুকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানার একটি আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়।
আসামি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে যে— গ্রেপ্তার এড়াতে আবাসিক হোটেলে আত্মগোপন করেছিল সে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।