কক্সবাজারের টেকনাফে ইয়াবা লেনদেনের টাকার জন্য বন্ধুর গুলিতে আরেক বন্ধু গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। শুক্রবার (২৯ মার্চ) সন্ধ্যায় উপজেলার সদর ইউনিয়নের নাজির পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত যুবকের নাম মো. জোবায়ের (৩০)। তিনি সদর ইউনিয়নের নাজির পাড়ার গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে।
জানা যায়, প্রথমে গুলিবিদ্ধ যুবককে আহত অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় চিকিৎসক কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠান। সেখান থেকে তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে রামু এলাকায় মারা যান তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে টেকনাফ সদর ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এনামুল হক লেন, জোবায়ের নামে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। তারা দুজনই ফুটবল খেলোয়াড়। মূলত ইয়াবার লেনদেনের জের ধরে গোলাগুলিতে মারা গেছেন।
স্থানীয়রা জানায়, দুদিন আগে সদর ইউনিয়নের নাজির পাড়া গ্রামের জাগির হোছনের ছেলে নজুমুদ্দিনের সঙ্গে একই এলাকার মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে জোবায়েরের মধ্যে টাকার লেনদেন নিয়ে মোবাইল ফোনে কথা কাটাকাটি হয়। এর আগে ইয়াবার লেনদেন নিয়ে ঘটনা হয় মৃত আলী আহমদের ছেলে কায়েসের সাথে। তখন কায়েস ভাগিনা নজুমুদ্দিনকে বললে সে জোবায়েরকে গুলি করে।
এ ঘটনার রেশ ধরে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে নজুমুদ্দিনের নেতৃত্বে জোবায়েরের বাড়িতে হামলা চালায়। একপর্যায়ে কিছু বুঝে উঠার আগেই জোবায়েরের মাথায় গুলি করে পালিয়ে যায় নজুমুদ্দিন ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা। পরে স্থানীয় লোকজন আহত জোবায়েরকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘শুক্রবার সন্ধ্যার পরে গুলিবিদ্ধ এক যুবককে হাসপাতালে আনা হয়েছে। তার কপালের বাম পাশে গুলি লাগে। রিভলভার জাতীয় কিছু দিয়ে গুলি করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি। গুলিবিদ্ধ যুবকের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়। পরে সেখান থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।’
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গনি বলেন, ‘টাকা লেনদেনের বিষয়ে গোলাগুলির ঘটনা শুনেছি। বর্তমানে পুলিশের একটি টিম কাজ করছে। ইয়াবার লেনদেনের বিষয়টা খতিয়ে দেখা হচ্ছে সেখানে কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে । বর্তমানে নিহতের লাশ জেলা সদর হাসপাতালে রয়েছে।’