সবারবেলায় সত্য বলি

হুমকির মুখে হরমুজ, যুদ্ধ শুরুর পর তেলের দাম বেড়েছে ১৩ শতাংশ

যুক্তরাষ্ট্রের ইরানি পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর বিমান হামলার পর বিশ্ববাজারে তেলের দাম হঠাৎ বেড়ে গেছে, যার ফলে মধ্যপ্রাচ্যে আরও বড় ধরনের সংঘাতের আশঙ্কা এবং জ্বালানি সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

ব্রেন্ট ক্রুড এবং মার্কিন ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডাব্লিউটিআই) তেলের দাম এক ধাক্কায় ৪ শতাংশের বেশি বেড়ে যায়, যদিও পরে কিছুটা কমে আসে।

ইরানের ফোর্দো, নাতাঞ্জ ও ইসফাহান পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর যুক্তরাষ্ট্রের—ইসরায়েলের সঙ্গে একযোগে বোমা হামলা চালানোর পর দামের এই ঊর্ধ্বগতি দেখা দিয়েছে । এর জবাবে ইরান হুমকি দিয়েছে হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেওয়ার, যা বিশ্বের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ অপরিশোধিত তেলের পরিবহন পথ।

ইরানের প্রেস টিভি জানিয়েছে, ইরানি পার্লামেন্ট হরমুজ প্রণালী বন্ধের পক্ষে একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। যদিও অতীতেও তেহরান এমন হুমকি দিয়েছিল, কখনোই এটি বাস্তবায়ন করেনি।

বিশ্লেষকেরা সতর্ক করে দিয়েছেন, পুরোপুরি প্রণালী বন্ধ না করলেও ওই অঞ্চলে উত্তেজনা ও জাহাজ চলাচলে সম্ভাব্য হুমকির কারণে পরিবহন খরচ এবং বীমা ব্যয় বেড়ে যেতে পারে, যার ফলে ওই অঞ্চল থেকে তেল রপ্তানি ব্যাহত হতে পারে।

স্পার্টা কমোডিটিজ-এর জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক জুন গোহ বলেন, তেল অবকাঠামোর ক্ষতির ঝুঁকি বহুগুণে বেড়ে গেছে। শিপিং কোম্পানিগুলো ক্রমশ ওই অঞ্চল এড়িয়ে চলবে।

গোল্ডম্যান স্যাক্স বলেছে, যদি হরমুজ প্রণালী আংশিকভাবে বন্ধ হয়ে যায়—যার ফলে এক মাসের জন্য তেল পরিবহন অর্ধেকে নেমে আসে—তাহলে ব্রেন্ট তেলের দাম সাময়িকভাবে ১১০ ডলার পর্যন্ত উঠতে পারে। যা বর্ত্মানে ৭২ ডলার। তবে ব্যাংকটি বর্তমানে কোনো বড় ধরনের বিঘ্নের আশঙ্কা করছে না।

১৩ জুন ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ব্রেন্ট তেলের দাম ইতিমধ্যে ১৩ শতাংশ বেড়েছে, আর ডাব্লিউটিআই তেলের দাম বেড়েছে প্রায় ১০ শতাংশ।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.