কুয়েতের আমির শেখ নওয়াফ আল আহমদ আল জাবের মারা গেছেন। শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে তার মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছে। খবর আলজাজিরার।
রয়েল কোর্টের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমরা গভীর দুঃখ ও শোক প্রকাশ করছি। কুয়েতের আমির শেখ নওয়াফ আল আহমাদ আল সাবাহ মৃত্যুবরণ করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর।
এর আগে গত ২৯ নভেম্বর কাতারের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে আল জাজিরা জানায়, হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন কুয়েতের আমির শেখ নওয়াফ আল-আহমেদ আল-জাবের। হঠাৎ অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সরকারি কর্মকর্তাদের বরাতে সংবাদমাধ্যম জানায়, আমিরকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তার পরীক্ষা নিরিক্ষা চলছে এবং তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
শেখ নওয়াফ ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে কুয়েতের আমির হিসেবে শপথ নেন। এর আগে তার ভাই শেখ সাবাহ আল-আহমাদ আল-জাবের আল-সাবাহ দেশটির আমির ছিলেন। তিনি ৯১ বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্রে মারা যান। তারপর নওয়াফ কুয়েতের আমির হোন।
শেখ নওয়াফ ৫৮ বছরেরও বেশি সময় ধরে কুয়েতের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করছেন। ১৯৬২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ২৫ বছর বয়সে তিনি হাওয়ালির গভর্নর হিসেবে নিযুক্ত হন এবং ১৯ মার্চ ১৯৭৮ পর্যন্ত এই পদে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৮ সালে তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং ১৯৮৮ সালের ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত এই পদে দায়িত্ব পালন করেন। উপসাগরীয় যুদ্ধে কুয়েতের স্বাধীনতার পর শেখ নওয়াফ ১৯৯১ সালের ২০ এপ্রিল শ্রম ও সামাজিক বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হন এবং ১৯৯২ সালের ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত এই পদে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৯৪ সালের ১৬ অক্টোবর শেখ নওয়াফ কুয়েত ন্যাশনাল গার্ডের উপপ্রধান হিসেবে নিযুক্ত হন এবং ২০০৩ সাল পর্যন্ত এই পদে ছিলেন। একই বছর শেখ নওয়াফ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর দায়িত্ব পুনরায় গ্রহণ করেন যতক্ষণ না ২০০৩ সালের ১৬ অক্টোবর আমিরি ডিক্রি জারি করা হয়। তখন তাকে কুয়েতের প্রথম উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। উপসাগরীয় ও আরব দেশগুলোর আরব রাষ্ট্রসমূহের সহযোগিতা কাউন্সিলের মধ্যে জাতীয় ঐক্যকে সমর্থন কারী কর্মসূচীকে সমর্থন করতে শেখ নওয়াফ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।