দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একটি জাল ভোট পড়লেই প্রমাণসাপেক্ষে সেই ভোটকেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হবে। তাৎক্ষণিকভাবে কেন্দ্রের দায়িত্বরত প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং এজন্টেসহ সরকারি কর্মকর্তাদের সাসপেন্ড করা হবে। পরবর্তীদের তদন্তসাপেক্ষে তাদের স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.)।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে পিরোজপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পিরোজপুর ও ঝালকাঠি জেলার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এবং নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আহসান হাবিব খান বলেন, নির্বাচনের দায়িত্ব পালনকালে কোনো সংবাদকর্মীর কোনো ধরনের ক্ষতি হলে অভিযুক্তকে কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। নির্বাচন সম্পূর্ন প্রভাবমুক্ত রাখা হবে। নির্বাচনের গোপন বুথ ছাড়া সাংবাদিকরা সব স্থানে যেতে, ছবি তুলতে এবং সংবাদ প্রচার করতে পারবেন। আমরা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চাই একটি অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন। আমার অনুকরনীয় নির্বাচন আয়োজন করতে চাই।
বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মো. শওকত আলীর সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বরিশাল রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি মো. জামিল হাসান, পিরোজপুর জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা (ডিসি) মোহাম্মাদ জাহেদুর রহমান, ঝালকাঠী জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা (ডিসি) ফারাহ গুল নিঝুম, পিরোজপুর জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মুহাম্মাদ শরীফুল ইসলাম, ঝালকাঠী জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আফরুজুল হক টুটুল প্রমুখ।