আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে মিল রেখে দেশে প্রথমবারের মতো জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ করেছে সরকার। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) নতুন মূল্যের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়।
নতুন দাম অনুযায়ী, ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিন ১০৯ টাকা থেকে কমিয়ে ১০৮ টাকা ২৫ পয়সা, অকটেন ১৩০ টাকা থেকে ১২৬ টাকা এবং পেট্রোলের দাম ১২৫ টাকা থেকে কমিয়ে ১২২ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। এক্ষেত্রে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনে ৭৫ পয়সা, অকটেনে ৪ টাকা ও পেট্রোলে ৩ টাকা কমেছে। ৮ মার্চ থেকে নতুন এই দাম কার্যকর হবে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের ২৯ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ নির্দেশিকার আলোকে গত বছরের ২ অক্টোবর প্রজ্ঞাপনমূলে ঘোষিত ডিজেল, কেরোসিন, অকটেন ও পেট্রোলের মূল্য কাঠামো এতদ্বারা নিম্নবর্ণিতভাবে পুনর্নির্ধারণ সমন্বয় করা হলো।
জ্বালানি তেলের সর্বশেষ মূল্য সমন্বয় পরবর্তী সময়ে কোভিড মহামারি-উত্তর সরবরাহ সংকট, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে সমুদ্রপথে জ্বালানি পণ্যের প্রিমিয়াম, পরিবহন ভাড়া, বিমা এবং ব্যাংক সুদের হারও ব্যাপক পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। উল্লিখিত সময়ে শুধুমাত্র মার্কিন ডলারের বিপরীতে দেশীয় মুদ্রা অবমূল্যায়িত হয়েছে এবং বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের (প্রধানত ডিজেল) মূল্যে অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে।
গাইডলাইন অনুসারে এখন থেকে প্রতি মাসেই জ্বালানি তেলের আমদানি/ক্রয়মূল্যের আলোকে ভোক্তা পর্যায়ে বিক্রয়মূল্য সমন্বয় করা হবে।
গত ২৯ ফেব্রুয়ারি জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণের নির্দেশিকা প্রকাশ করে জ্বালানি মন্ত্রণালয়। সেখানে বলা হয়, দেশে ব্যবহৃত অকটেন ও পেট্রোল ব্যক্তিগত যানবাহনে অধিক পরিমাণে ব্যবহৃত হয়। তাই বাস্তবতার নিরিখে বিলাস দ্রব্য হিসেবে সবসময় ডিজেলের চেয়ে অকটেন ও পেট্রোলের দাম বেশি রাখা হয়।
এর আগে ২০২২ সালের ৩০ আগস্ট থেকে দেশের বাজারে সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম লিটারপ্রতি ৫ টাকা কমিয়েছিল সরকার।