সবারবেলায় সত্য বলি

ঘূর্ণিঝড়ের বড় অংশ আঘাত হানতে পারে রোববার সন্ধ্যার পর

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি শনিবার (২৫ মে) সন্ধ্যার মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’- এ পরিণত হতে পারে। এর মূল অংশ রোববার (২৬ মে) সন্ধ্যায় ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সাগর আইল্যান্ড এবং বাংলাদেশের পটুয়াখালীর খেপুপাড়ার মধ্যদিয়ে অতিক্রম শুরু করতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টির ৭০ শতাংশ বাংলাদেশ এবং ৩০ শতাংশ ভারতে আঘাত হানতে পারে।

তবে রোববার দুপুর থেকেই ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগ উপকূল অতিক্রম শুরু করতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান। শনিবার (২৫ মে) সচিবালয়ে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুতি সভা শেষে এসব কথা বলেন তিনি।

আজিজুর রহমান বলেন, আগামীকাল (রোববার) সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম শুরু করতে পারে। আগামীকালকে রাত ১২টার মধ্যে এটি উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করতে পারে। রোববার দুপুর থেকেই ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রভাগ উপকূল স্পর্শ করতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়টি মূলত ভারতের সাগর আইল্যান্ড এবং বাংলাদেশের পটুয়াখালীর খেপুপাড়ার মধ্যবর্তী স্থান দিয়ে স্থলভাগ অতিক্রম করতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টির ৩০ শতাংশ ভারত এবং ৭০ শতাংশ বাংলাদেশের স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে।

পুরো ঘূর্ণিঝড়টির আকার ৪০০ থেকে ৫০০ কিলোমিটার হতে পারে জানিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের এ পরিচালক বলেন, ‘রিমাল’ প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে স্থলভাগ অতিক্রম করতে পারে। এটি অতি প্রবল হওয়ার সম্ভাবনা দেখছি না। স্থলভাগ অতিক্রমের সময় এর বাতাসের সর্বোচ্চ গতি হতে পারে ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার। এখন পর্যন্ত আমরা এটিকে প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবেই দেখছি।

শনিবার সন্ধ্যা নাগাদ গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে আমরা ৫/৬/৭ বিপৎসংকেত জারি করতে পারি। পরে মহাবিপৎসংকেত (৮, ৯ ও ১০) জারি হতে পারে। তবে পরবর্তীতে পরিস্থিতি অনুযায়ী সেটা আমরা জারি করবো।’

এখন পর্যন্ত এটি উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পর আজকে সন্ধ্যার পর থেকে এটি উত্তরে বাংলাদেশের দিকে মোড় নিতে পারে। গভীর নিম্নচাপটি এখন ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার বেগে এগোচ্ছে বলেও জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক।

ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার প্রস্তুতি সবার শেষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, ‘আমাদের ৮০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রেখেছি। সার্বিক প্রস্তুতি আমরা নিয়েছি। সেই অনুযায়ী কাজ শুরু করে দিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘উপকূলীয় জেলায় আমাদের প্রায় চার হাজার আশ্রয়কেন্দ্র আছে। এগুলো আমরা প্রস্তুত রেখেছি। খাদ্যের জন্য আমাদের প্রত্যেকটি জেলায় গুদামে পর্যাপ্ত শুকনো খাবারসহ যেসব জিনিস দরকার হবে এগুলো মজুত রেখেছি। প্রয়োজনে ঢাকা থেকে যাতে আরও সাপ্লাই দিতে পারি এজন্য প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।’

এসআই/আজকের বেলা
আজকের বেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

Get real time updates directly on you device, subscribe now.