সবারবেলায় সত্য বলি

জিএম কাদের নয়, বিরোধী দলের নেতা হচ্ছেন আনিসুল ইসলাম মাহমুদ!

জাতীয় পার্টির অভ্যন্তরীণ কোন্দল চরম আকার ধারণ করেছে। জি এম কাদেরের নেতৃত্ব মেনে নিতে পারছেন না জাতীয় পার্টির প্রায় সকল সদস্য। বিশেষ করে মনোনয়ন বাণিজ্য করা, তার নিজের স্ত্রী শেরীফা কাদেরকে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য দলকে বিক্রি করা এবং বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।

এর ফলে জাতীয় পার্টি এখন ভাঙনের দ্বারপ্রান্তে। এরকম পরিস্থিতিতে জাতীয় পার্টিকে বিরোধী দলের মর্যাদা পেতে হলে অন্তত ২০ জন স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থন লাগবে।

স্বতন্ত্র যারা নির্বাচিত হয়েছেন, তারা সকলেই আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী বা আওয়ামী লীগের সমর্থক। তারা আওয়ামী লীগের পরিচয়ে পরিচিত হতে চান। তারা শেষ পর্যন্ত জাতীয় পার্টিকে বিরোধী দল হিসেবে সমর্থন দেবে কি-না, তা নির্ভর করছে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদ নেতা শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের ওপর। শেখ হাসিনা তাদেরকে হয়তো শেষ পর্যন্ত সবুজ সংকেত দেবেন, কিন্তু তা শর্তসাপেক্ষে।

জি এম কাদের গত দুই বছর ধরে যে বাড়াবাড়ি করেছে, সরকারের অনভিপ্রেত অনাকাঙ্ক্ষিত সমালোচনা করেছে, মাঝে মাঝে বিএনপির চেয়েও বড় সমালোচকে পরিণত হয়েছিল। এ জন্য জি এম কাদেরকে আর আওয়ামী লীগ সংসদের বিরোধী দলের নেতার চেয়ারে দেখতে চায় না। বরং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পছন্দ জাতীয় পার্টির উদারপন্থী নেতা এবং সহনশীল, সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য হিসেবে পরিচিত আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে।

আনিসুল ইসলাম মাহমুদ জাতীয় পার্টির সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং এবারের নির্বাচনে তিনি চট্টগ্রামের হাটহাজারী আসন থেকে বিজয়ী হয়েছেন। জি এম কাদেরের চেয়ে আনিসুল ইসলাম মাহমুদের গ্রহণযোগ্যতা এখন জাতীয় পার্টিতে যেমন বেশি, তেমনই আওয়ামী লীগও তার সঙ্গে কাজ করতে স্বচ্ছন্দ বোধ করে।

২০১৪ থেকে ২০১৮ সালের মন্ত্রিসভায় আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। সরকারের কাছে গ্রহণযোগ্য এই ব্যক্তি যদি বিরোধী দলের নেতা হন সেক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টিকে বিরোধী দলের মর্যাদা দিবে।

জাতীয় পার্টি যদি এতে রাজি না হয় সেক্ষেত্রে স্বতন্ত্রদের পক্ষ থেকে একটি মোর্চা গঠন করা হবে এবং সেই মোর্চাই বিরোধী দলের জায়গা দখল করবে। এখন দেখার বিষয় জি এম কাদের কোণঠাসা অবস্থায় তার অস্তিত্ব রক্ষার জন্য কি করেন এবং জাতীয় পার্টি কোন ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়।

এসআই/আজকের বেলা
আজকের বেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

Get real time updates directly on you device, subscribe now.