মিরসরাইয়ে বিএনপি-যুবদলের ১৩ নেতাকর্মীর নামে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীদের পরিবার।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) উপজেলা সদরের একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। এতে বিএনপি-যুবদলের নেতাকর্মীদের নামে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা ও হয়রানির অভিযোগ করেন তারা।
এর আগে ১ সেপ্টেম্বর রাতে মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে এসকিউ কারখানায় নিহত রফিক মেম্বারের স্ত্রী লায়লা বেগম বাদী হয়ে জোরারগঞ্জ থানায় ২৩ জনের নামে উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী রুজিনা আক্তার, হেলাল উদ্দিনের ভাই সালাহ উদ্দিন, ফরিদ হোসেনের বোন তাহসিন আক্তার, রাশেদুল আলমের বোন রোজিনা আক্তারসহ ভুক্তভোগী ১৩ জনের পরিবারের সদস্যরা।
উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব গাজী নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘গত ১ সেপ্টেম্বর রাতে মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে এসকিউ কারখানায় ডাকাতির উদ্দেশ্যে ১৪-১৫ জনের একটি গ্রুপ প্রবেশ করে। পরবর্তীতে কারখানার নিরাপত্তাকর্মীরা অ্যালার্ম বাজালে আশেপাশের লোকজন ও উত্তেজিত জনতা একত্রিত হয়ে তাদের গণধোলাই দেন। সেখানে রফিক মেম্বার নিহত হন এবং সাথে থাকা অন্যরা বেশ আহত হন। যা পরের দিন কারখানা কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের বরাত দিয়ে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
দুঃখজনক বিষয় হলো— রফিক মেম্বার নিহতের ঘটনায় তার স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় উপজেলার ১১নং মঘাদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হেলাল উদ্দিন, মিঠানালা ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক মোহাম্মদ হানিফ, মঘাদিয়া ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক শাখাওয়াত হোসেন রিপন, যুগ্ম আহ্বায়ক করিম শাহ, মোশারফ হোসেন, মঘাদিয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আবদুল মান্নান, বিএনপি নেতা মুসলিম উদ্দিন, লোকমান হোসেন, আনোয়ার হোসেন, মো. হাবিব, হাইতকান্দি ইউনিয়ন বিএনপি নেতা কামাল উদ্দিন, যুবদল নেতা রাশেদুল ইসলাম, মো. ফরিদকে আসামি করা হয়েছে।
তারা বিগত ১৭ বছর আওয়ামী লীগ আমলে নির্যাতিত হয়েছে। যেখানে রফিক মেম্বারকে হত্যা করা হয়েছে সে কারখানা কর্তৃপক্ষকে মামলায় কোনো আসামি করা হয়নি। একটি চক্র প্রকৃত অপরাধীদের বাঁচাতে বিএনপি-যুবদলের নেতাকর্মীদের রাজনৈতিক ভাবে ঘায়েল করতে মামলায় তাদের আসামি করেছে।’