মিরসরাইয়ে জামায়াতে ইসলামীর সমাবেশে হামলার জের ধরে পৌরসভা যুবদলের আহ্বায়ক কামরুল হাসানের বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছে জামায়াতের বিরুদ্ধে। শনিবার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় মিরসরাই পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে কামরুলের বসতবাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
যুবদল নেতা কামরুল হাসানের দাবি— হামলার ঘটনায় তার বাবা আমিন হোসেন (৭৫), স্ত্রী মর্জিনা আক্তার খালেদা, জিয়া মঞ্চ মিরসরাই পৌরসভা সভাপতি নাহিদ হোসেন, মিরসরাই পৌরসভা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মো. কামরুল ইসলাম, যুবদল কর্মী মো. গিয়াস কামাল ও মিরসরাই কলেজ ছাত্রদলের নেতা মো. মাসুম আহত হয়েছেন।
জানতে চাইলে মিরসরাই পৌরসভা যুবদলের আহ্বায়ক কামরুল হাসান আজকের বেলাকে বলেন, ‘শুক্রবার সন্ধ্যায় মিরসরাই পৌরসভার এস রহমান আইডিয়াল স্কুলে স্থানীয় কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে পুনর্বাসন করে সভা করেছিল জামায়াত। স্থানীয় যুবদল ও বিএনপি’র নেতা-কর্মীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে মিরসরাই পৌরসভা জামায়াতের আমির শিহাব উদ্দিনকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তার দলের নেতাকর্মীরা আমার ওপর হামলা করে।
খবর পেয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থলে গেলে তাদের ওপরও হামলা করে জামায়াত। এরপর শুক্রবার রাত থেকে আমি ও আমাদের নেতাকর্মীদের হুমকি দিয়ে আসছিল জামায়াত-শিবিরের নেতারা। শুক্রবারের সন্ধ্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার বিকেলে মিরসরাই পৌরসভার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে জামায়াত-শিবির। মিছিল ও সমাবেশ শেষে সন্ধ্যায় আমার বাড়িতে ভাঙচুর করে জামায়াত। এ সময় বাড়িতে থাকা আমার বাবা, স্ত্রী ও চার নেতাকর্মীর উপর হামলা করে তারা।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মিরসরাই পৌরসভা জামায়াতের আমির শিহাব উদ্দিন আজকের বেলাকে বলেন, কামরুল হাসানের বাড়িতে কে বা কারা হামলা করেছে, তা আমার জানা নেই। তার বাড়িতে হামলার সময় আমি মিরসরাই থানায় ছিলাম। বরং শুনেছি সে নিজেই এলাকায় তার প্রতিপক্ষের লোকজনের ওপর চড়াও হয়ে বাড়ি-বাড়ি গিয়ে আক্রমণ করেছে। এর আগে শুক্রবার কামরুলের নেতৃত্বে আমাদের কর্মী সমাবেশে অতর্কিত হামলা চালানো হয়। এ সময় এক সাংবাদিকসহ আমাদের ১০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
জানতে চাইলে মিরসরাই থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) দীপ্তেশ রায় আজকের বেলাকে বলেন, যুবদল নেতা কামরুল হাসানের বাড়িতে হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। কারা হামলা করেছে, সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। হামলার ঘটনায় এখনো থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নিব।