বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে কারাগারে থাকাকালে ‘স্লো পয়জনিং’ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ‘খালেদা জিয়ার আশু রোগ মুক্তি কামনা’য় এক মিলাদ মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন। এ মিলাদ মাহফিলে আয়োজন করে শ্রমিক দল।
এসময় মির্জা আব্বাস বলেন, খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসকরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু সরকার অনুমতি দিচ্ছে না।
খালেদা জিয়া কোনো অপরাধ না করেই আটক আছেন দাবি করে তিনি বলেন, অথচ অপরাধ করেও আওয়ামী লীগের মহিউদ্দিন খান আলমগীর, মায়া চৌধুরী ও হাজী সেলিমরা বাইরে রয়েছেন। আইন শুধু বিএনপির জন্য আর অনিয়ম আওয়ামী লীগের জন্য। এ অন্যায়ের বেড়াজাল ভেঙে আমরা তছনছ করে দেব। আমাদের মনে রাখতে হবে শুধুমাত্র খালেদা জিয়ার মুক্তি নয়… সারাদেশের মানুষের মুক্তি, সারাদেশের মানুষের সার্বভৌমত্বের মুক্তি এবং মানুষের ভোটাধিকারের মুক্তির জন্য লড়াই করতে হবে।
খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে না পারার ব্যর্থতার কথা স্বীকার করে এই বিএনপি নেতা বলেন, আজকে চেয়ারপার্সন জেলে। তাকে আমরা মুক্ত করতে পারিনি। এটা আমাদের দুর্বলতা। দেশ ও দেশের মানুষের জন্য তিনি কখনো আপস করেননি। তিনি বেঁচে আছেন ঠিকই কিন্তু আমাদের মাঝে নেই। তিনি আমাদের মাঝে থাকলে দেশের আজ এই অবস্থা হতো না। এদেশ বহু আগে হায়নাদের কাছ থেকে মুক্ত পেত। সেটি বুঝতে পেরে তারা খালেদা জিয়াকে আটকে রেখেছে।
অনুষ্ঠানে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, খালেদা জিয়ার যদি কিছু হয় তাহলে আওয়ামী লীগকে কেউ রক্ষা করতে পারবে না। অবৈধ সরকারের বিচার বাংলাদেশের মাটিতে হবে। যখন কোনো দেশের বিচারক, আলেম ও সুশীল সমাজ অন্ধ হয়ে যায়, মানুষ যখন নিশ্চুপ হয়ে যায়, তখন সেই দেশে আল্লাহর গজব নাজিল হয়। কিছুদিনের মধ্যেই এই অবৈধ সরকারের ওপর আল্লাহর গজব নাজিল হবে।
শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত দোয়া মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসসহ অনেকেই।