ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের রকেট হামলার জবাবে গাজা উপত্যকায় গত ১০ দিন ধরে বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।
শিশু, নারী, স্বাস্থ্যকর্মী কেউই রেহাই পাচ্ছে না ইসরায়েলের নির্বিচার বোমা হামলা থেকে। অন্যদিকে হামাসও হাত গুটিয়ে বসে নেই। মাঝে মধ্যেই ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে রকেট হামলা চালাচ্ছে।
এদিকে গাজায় স্থল হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েল। এ নিয়ে আলোচনা করতেই সোমবার (১৬ অক্টোবর) তেল আবিবে বৈঠকে বসেছিলেন সফররত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এবং ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। আর ঠিক সেই সময়েই তেল আবিবে বেজে ওঠে রকেট হামলার সাইরেন। সেই সাইরেন শুনে বৈঠক ছেড়ে বাঙ্কারে আশ্রয় নিতে বাধ্য হোন ব্লিংকেন ও নেতানিয়াহু।
দ্য ম্যাসেঞ্জারের খবরে বলা হয়েছে, হামাসের হামলার যোগ্য জবাব কীভাবে দেওয়া হবে তা নিয়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এবং যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার সদস্যদের সঙ্গে তেল আবিবে বৈঠকে বসেছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সেসময় তেল আবিব ও সংলগ্ন এলাকায় রকেট হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। হামলার সাইরেন শুনে বৈঠক ছেড়ে বাঙ্কারে আশ্রয় নেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাট মিলারও সাংবাদিকদের কাছে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, মিনিট পাঁচেক বাঙ্কারে ছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, সোমবার তেল আবিবে দুইবার বিমান হামলার সাইরেন বাজে। এদিন প্রথম দফায় হামাসের রকেট হামলার সময়ে সংসদ ভবনে ছিলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী। সাইরেনের শব্দ শুনে তড়িঘড়ি নিরাপদ স্থানে তাকে সরিয়ে নিয়ে যায় নিরাপত্তা কর্মীরা।